সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অটোপাসে রাজশাহীর চারগুণ শিক্ষার্থী পেলেন জিপিএ-৫

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১
অটোপাসে রাজশাহীর চারগুণ শিক্ষার্থী পেলেন জিপিএ-৫

এবার অটোপাসে এইচএসসির ফলাফলে গত বছরের তুলনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রায় চারগুণ বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৬৮ জন। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী অতীতে আর কখনও জিপিএ-৫ পায়নি।

গত বছর এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ছয় হাজার ৭২৯ জন। এছাড়া ২০১৮ সালে চার হাজার ১৩৮ জন, ২০১৭ সালে পাঁচ হাজার ২৯৪ জন, ২০১৬ সালে ছয় হাজার ৭৩ জন, ২০১৫ সালে পাঁচ হাজার ২৫০ জন এবং ২০১৪ সালে সাত হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

শিক্ষা বোর্ড বলছে, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে অটোপাস। শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও জেএসসির ফল বিশ্লেষণ করে ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এতেই এসেছে রেকর্ডসংখ্যক জিপিএ-৫।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৫৬টি কলেজের নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের সবাই পাস করেছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৬ জন। পাসর হার শতভাগ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে এবার উত্তীর্ণ মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ হাজার ১২৯ জন ছাত্র এবং ৬৯ হাজার ৮৪৭ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ হাজার ৫৬৫ জন ছাত্র এবং ১৪ হাজার ৩ জন ছাত্রী।

বিজ্ঞান শাখায় এবার পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৯ হাজার ৯৭ জন। যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮৫ জন এবং ছাত্র ২১ হাজার ৬১২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ হাজার ৭২১ জন। যদের মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৯০ জন এবং ছাত্রী ৯ হাজার ৬৩১ জন।

মানবিক শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল ৯১ হাজার ৭৬৩ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ৪৬ হাজার ১২৭ এবং ছাত্রের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ জন। যাদের মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৭৯১ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ৬৬১ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ হাজার ১১৬ জন। যাদের মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৮৮১ জন এবং ছাত্রী ৬ হাজার ২৩৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৫ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮৪ জন এবং ছাত্রী ৭১১ জন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। এজন্য আলাদা একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। সফটওয়্যার যে ফলাফল দিয়েছে সেটিই প্রকাশ করা হয়েছে। দ্রুতই সনদপত্র ও নম্বরপত্র সরবরাহ করা হবে।


আরো নিউজ