আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমেছেন হাজী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি চেয়ারম্যান কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি নন। তবুও অসহায় মানুষের পাশে তিনি। ছাত্র জীবন থেকে একই ভাবে অসহায়, গরীব ও দুঃস্থ মানুষদেরকে সাহায্য কিংবা সহযোগিতা করাই যার নেশা। স্থানীয় ছোট-বড় সবার প্রিয় মুখ গৈলা ইউনিয়নের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল আলম বেপারীর ছেলে হাজী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। গ্রামে দলমত নির্বিশেষে মানুষের কাছে গিয়ে সুখ-দুখের খবর নেয়াসহ নানা সমস্যার কথা শুনে সাধ্যমতে সমাধান করার চেষ্টা করাই ছিলো তার মূল লক্ষ্য। করোনা মহামারীর শুরু থেকে এলাকার বিভিন্ন অসহায়, গরীব ও দুঃস্থ মানুষদের খোজ খবর নেয়া, অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছেন। মানবিক, হৃদয়বান ও প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ হাজী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এছাড়াও মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন। অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পারলে, বস্ত্রহীনকে পোষাক দিলে, নির্যাতিতের পাশে শক্ত হয়ে দাড়ালে যার মন ও বিবেক প্রশান্তিতে ভরে ওঠে তিনি হলেন হাজী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এব্যাপারে হাজী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আসন্ন ৪নং গৈলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই, আমার বাবা মরহুম শামসুল আলম বেপারী গৈলা ইউনিয়নের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার বাবা সততার সঙ্গে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের দিক নির্দেশনায় গৈলা ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন। ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এর মৃত্যুতে শোকাভিভূত হয়ে রাজনীতি থেকে সেচ্ছায় দূরে থাকেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আর্দশ নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেছেন। আমি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো করার জন্য গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করার চিন্তা করছি, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জয়ী হতে পারলে আমার বাবার নীতি ও আর্দশ নিয়ে মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র একজন বিশস্ত কর্মী হিসেবে গৈলা ইউনিয়নের জনগণের জন্য উন্নয়নমুলক কাজ করে যাব। ইনশাআল্লাহ।