মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে করোনার টিকা নিতে উপজেলা হাসপাতালে উপচে পরা ভিড় লক্ষ করা গেছে। গত কয়েকদিনে টিকা কার্যক্রম দেখে এবং এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন উপজেলা হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে ভিড় করছেন। যারা টিকা নিয়েছেন তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উপজেলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগের ৬ষ্ঠ দিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবিসহ ৬শত ২১ জন ব্যক্তি করোনার টিকা গ্রহন করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের ১ম দিনে ১৮ জন, ৮ ফেব্রুয়ারী ২য় দিনে ১৬ জন, ৯ ফেব্রুয়ারী ৩য় দিনে ৩০ জন, ১০ ফেব্রুয়ারী ৪র্থ দিনে ১০৭ জন, ১১ ফেব্রুয়ারী ৫ম দিনে ২২০জন ও ৬ষ্ঠ দিনে ২৩০জনসহ মোট ৬ শত ২১ জন ব্যক্তি কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করেছেন। শনিবার সকালে উপজেলা হাসপাতালে প্রথম সারির সম্মুখযোদ্ধা গনমাধ্যমকর্মী আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক তপন বসু সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথমে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করেন। পরে প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক পলাশ দত্ত করোনার টিকা গ্রহন করেন। টিকা নিতে আসা সাংবাদিক তপন বসু জানান, টিকা গ্রহনের সময় তেমন কোন ব্যথা পাওয়া যায় না। নেই কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার কথাও বলছেন সে। টিকা নিয়ে প্রয়োগের ভয়ভীতি যতটুকু ছিল, এখন তা একেবারেই নেই বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তাই মানুষ এখন উৎসবমুখর পরিবেশে স্বপ্রনোদিত ভাবে টিকা নিচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা নিচ্ছেন।