সন্তান ধারণের শারীরিকভাবে অক্ষম দম্পতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সাতক্ষীরায়। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েও সুফল না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিক নানা সংকটে পড়ছেন এসব দম্পতি। এ কারণে সন্তান দত্তক নেয়ার দম্পতির সংখ্যা বাড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তান না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটছে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা ঘটছে। স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
পিত্রালয়ে পুনরায় আশ্রয় হলেও এসব নারীর জীবনে নেমে আসছে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যা। কোনো কোনো স্বামী অথবা স্ত্রী আত্মহত্যা, হত্যা অথবা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক অবৈধ।
এদিকে পরকীয়া ও অন্যান্য কারণে সাতক্ষীরায় জš§ নিচ্ছে ঘটনা ঘটাচ্ছেন সন্তান। অবৈধভাবে জন্মলাভ করা শিশু সন্তানদের রাস্তাঘাটে ফেলে রাখার ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। নিঃসন্তান দম্পতিরা এসব শিশু দত্তক নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
বেসরকারি সংস্থা স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত জানান, সন্তান জন্মদানে অক্ষম হওয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক নারী আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিকে পরকীয়ার জেরে ও অন্যান্য কারণে প্রাপ্ত শিশু সন্তানকে দত্তক নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অক্ষম দম্পতিরা।
জেলা সমাজ সেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার সুমনা শারমিন জানান, গত এক বছরের ব্যবধানে সাতক্ষীরায় চারটি শিশু সন্তান কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। এর একটি ছিল কালিগঞ্জে গাছে বাজারের ব্যাগে ঝুলন্ত অবস্থায়। এছাড়া ছিল সম্প্রতি শ্যামনগরে একটি কালভার্টের ওপর একটি ব্যাগে রেখে যাওয়া শিশু সন্তান। উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি হিসাবে তিনি দত্তক গ্রহণের জন্য প্রাপ্ত আবেদনগুলো জেলা শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেন।
সুমনা শারমিন আরও জানান, সম্প্রতি শ্যামনগরে একটি কালভার্টের ওপর ব্যাগে রেখে দেওয়া শিশুটিকে দত্তক পেতে এরই মধ্যে ২৩ দম্পতি আবেদন করেছেন।