বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা প্রতিপালনের স্বার্থে দুঃখ প্রকাশ করে পুনরায় আবেদন করার জন্য দুই শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনশনরত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমামুল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে তাদের পরিবর্তে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোজাহিদুল ও ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন।
এদিকে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী আবারও প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। রোববার খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে এ চিঠি দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক তাদের বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহারসহ চলমান সময়ে ও ভবিষ্যতে এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো প্রকার হয়রানি ও বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে লিখিত দাপ্তরিক পত্র চেয়েছেন তারা।
এর আগে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে উপাচার্য বরাবর আবেদন করার অনুরোধ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর আবেদন করলেও মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন মেয়রকে।
ওই দিন বিকেলের দিকে চিঠিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মেয়রের কাছে নিয়ে যান ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আলী আকবর। সে আবেদনে শিক্ষার্থীরা দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা না করায় পুনরায় আবেদন করার জন্য সিটি মেয়র অনশনরত দুজন শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা কর্মসূচি শুরু করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে গত বছর ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই দুই শিক্ষার্থীও অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ তোলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। তবে ওই দুই শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও প্রহসনমূলক।