সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চরফ্যাশনে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের হামলায় প্রতিপক্ষের আহত – ৫

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১
চরফ্যাশনে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের হামলায় প্রতিপক্ষের আহত - ৫

চরফ্যাশনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই ও ভাতিজা মিলে প্রতিপক্ষকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মুদি দোকানিসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ২ জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯জানুয়ারি) রাতে চরফ্যাশন উপজেলার নজরুল নগর ইউনিয়নের দূর্গম অঞ্চল চর নলুয়া স্লুইজগেট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নজরুল নগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহীম হাওলাদার (৫০) ও তার ছেলে সাইফুল হাওলাদার (২৩) স্লুইজগেট বাজারে তাদের হাওলাদার স্টোর নামের মুদি দোকানে সন্ধ্যায় বেচাকেনার সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের ভাই রিয়াদ,মাকসুদ ভাতিজা ইমনসহ আরও ৫/৬ জন মিলে দোকানী ইব্রাহিম ও তার ছেলে সাইফুল হাওলাদারকে হকিস্টিক, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে বলে আহতের পরিবার অভিযোগ করেন।

চিকিৎসাধীন ইব্রাহীম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, রুহুল চেয়ারম্যানের দুই ভাই এবং ভাতিজা প্রায় ৫০ থেকে ৭০ টি ছাগল পালন করে। এসব ছাগল বাজারে ও রাস্তাঘাটে ছেড়ে দিয়ে পালন করে আসছে। স্লুইজগেট বাজারে মানুষের দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে গিয়ে গাছগাছালিসহ মুদি দোকান ও কাঁচা বাজারের দোকানে গিয়ে খাবার খেয়ে স্থানীয় জনসাধারণের ক্ষতি করে দীর্ঘদিন।

সাইফুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে চেয়ারম্যানদের ছাগল এসে দোকানের খাবারে মুখ দিলে আমি তাড়িয়ে দেয়ায় চেয়ারম্যানের ভাই রিয়াদ, মাকসুদ ও তার ভাই বাবুল হাওলাদারের ছেলে ইমনসহ ৫ থেকে ৬জন মিলে সন্ধ্যায় আমাদের দোকানে এসে হামলা করে। এসময় আমাকে ও আমার বাবা ইব্রাহিম হাওলাদারকে দাঁ ছেনি ও লোহার রড লাঠিসোঁটা এবং হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আমাদের আহত করে। এসময় আমার চোখে, মাথায় এবং ডান পায়ে রড ও দায়ের কোপসহ লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়।

চেয়ারম্যানের প্রভাবে তার ভাই ও ভাতিজারা দূর্গম ওই এলাকায় একাধীক অপকর্মসহ ত্রাস সৃষ্টিরও অভিযোগ করেন স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি।

এ অভিযোগ বিষয়ে জানতে রিয়াদকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার তার ভাই ও ভাতিজা কর্তৃক মারধরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষই মারামারির সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু এক পক্ষ মার বেশি খেয়েছে। আহতদের দেখতে আমার ভাই ও ভাতিজা হাসপাতালে গিয়েছে। তাদের ডেকেছি তারা যদি আসে তাহলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সুষ্ঠু সালিশ ফয়সালা করে দেয়া হবে।ঢ়

দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো নিউজ