সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা কেন সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো হতে পারে না?

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০
ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা কেন সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো হতে পারে না?

উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং এর ব্যবস্থাপনাকে বাংলাদেশে উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের ড্রেনেজ ব্যবস্থা কেন সে সকল দেশের মতো হতে পারে না? এমন প্রশ্ন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল কন্টিনেন্টাল এর বল রুমে ঢাকার ২৬টি খালের দায়িত্ব ওয়াসার থেকে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা তো সিঙ্গাপুরকে দেখি, হংকংকে দেখি, চায়নাকে দেখি। ইউরোপের অনেক দেশকে আমরা উদাহরণ দেই। কেন ঢাকা শহর সে রকম হতে পারবে না?

দেশের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার অতীত ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার যে দায়িত্ব সেটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ছিল। ১৯৮৮ সালে কি কারণে, কোন যুক্তিতে এটা ওয়াসাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তিতে দেখা গেল, এটা জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠানের কাজ।

সকলকে সম্মিলিত ভাবে নগরির জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নাগরিকদের সেখানে হাত সম্প্রসারিত করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের মেয়রদের নিতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে।

খাল পরিষ্কার ও ব্যবস্থাপনা কাজে ওয়াসার কাছে থাকা জনবল এবং যন্ত্রপাতি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

ঢাকার ২৬টি খাল দুই সিটিতে হস্তান্তরের কারণে উত্তর সিটি এলাকায় পড়েছে ১৫টি খাল। বাকী ১১টি পড়েছে দক্ষিণ সিটিতে। দায়িত্ব বুঝে পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল পরিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন দুই মেয়র। এর মধ্যে উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি এলাকার খালগুলোর অবৈধ দখল উদ্ধার করে খালের পাড় বাধাই করা হবে। পাশাপাশি খালের পাশ দিয়ে নাগরিকদের চলাচলের জন্য গড়ে তোলা হবে ওয়াকওয়ে। আর খালের পাড়ে লাগানো হবে পরিবেশ বন্ধু গাছ।

দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার পাঁচটি খাল উদ্ধার এবং পরিষ্কারের উদ্যোগ তিনি এরইমধ্যে নিয়েছেন। আগামী জুন মাসের মধ্যে দক্ষিণ সিটির অধিভুক্ত ১১টি খাল পরিষ্কারের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এদিকে খাল হস্তান্তর করলেও এ বিষয়ে দুই সিটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।

খালের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওয়াসার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশন এবং ওয়াসার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো নিউজ