বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশারদ গ্রামের দক্ষিণ জুহুরা খাতুন দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় ব্লেড দিয়ে নিজের গলা কেটে রক্তাত্ব করার অভিযোগ উঠেছে ফেরদৌস খান (১৯) নামে যুবকের বিরুদ্ধে। তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও দুই ঘন্টা পর পুলিশ ফেরদৌসকে উদ্ধার করে। ফেরদৌস ওই গ্রামের হানিফ খানের ছেলে এবং গত বছর সিংহেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে।
ফেরদৌসের প্রতিবেশী মো. রেজভী জানান, ফেরদৌস ব্লেড দিয়ে নিজের গলায় পোচ দিয়ে রক্তাত্ব অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে বন্দর থানায় খবর দেয়। পুলিশ ফেরদৌসকে উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করে।
এর দেড় বছর আগেও সে একইভাবে ব্লেড দিয়ে নিজের শরীর রক্তাত্ব করে বলে জানান প্রতিবেশী রেজভী।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ফেরদৌসকে উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। ওসি আরও জানান, ফেরদৌসের মা তার বাবাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে। তার বাবা ঢাকায় চাকরি করে। ফেরদৌস এখানে দাদার বাড়িতে থাকে। মানসিক সমস্যা থেকেই সে ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওসি জানান।