পটুয়াখালীর বাউফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে একটি শো-ডাউন চলাকালিন সময় অপর পক্ষ হামলায় চালিয়ে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সারে ১২টার দিকে উপজেলার কালিশুরী বন্দরের চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশের) নেতা সেলিম মৃধার নেতৃত্বে জনতা বাজার থেকে শতাধিক মটর সাইকেল নিয়ে একটি শো-ডাউন কালিশুরী বন্দরের চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে ওই শো-ডাউন থেকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন ও যুবলীগ নেতা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী রাব্বি তালুকদার (২৫) ও তার চাচাতো ভাই ছাত্রলীগ কর্মী মিরাজ তালুকদারকে (২৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন সিকদার জামালের অনুসারি বলে জানা গেছে। তাদেরকে উদ্বার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশের) সাংগঠনিক সম্পাদক ও নওমালা ইউপির চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় রুবেল (৩০), কামাল (২৮) আফজাল সরদার (৩১) কবির মৃধা (৩৫) রুমন(২৫) ও পাবেল মৃধা(৩৪)সহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনার পর রাত ১০টার সময় কামাল বিশ্বাস সমর্থক কবিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক বটকাজল গ্রামের চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থক ইসমাইল মৃধার (৬৫) বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।