পটুয়াখালীর বাউফলে আকষ্মিক ভাবে ভোজ্য তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের মানুষেরা। ক্রেতাদের দাবি, কৃত্রিমভাবে সোয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশী দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা । তবে চাহিদার তুলনায় জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আজ বুধবার দুপুরে বাউফল বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, ভোজ্য তেলের সংকট। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল নেই। আবার খোলা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দোকানদার বোতলজাত তেলই বিক্রি করছেন না। এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটে সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
সোয়াবিন তেলের দাম জানতে গেলে পৌর সদরের লোকনাথ ভান্ডারের দোকানী সঞ্জয় কুমার বনিক বলেন, কী খাইবেন,খাওয়া লাগবে না। এক সপ্তাহ থেকে বোতলজাত তেল সংকট চলছে। এ সময়ে ২ লিটার বোতলজাত তেলের দাম কত জানতে চাইলে ৩৪০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
পৌরসদরের বাসিন্দা ক্রেতা সাহিন বলেন, গত ১০ দিন আগে খোলা সয়াবিন তেল কিনলাম ১৮০ টাকা কেজি। সেই তেল এখন কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। সামনে ঈদ। এ কারণে বাজারে তেলের সংকট হওয়ায় দোকানিরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পৌর সদরের বাংলা বাজার এলাকার আরেক ব্যবসায়ী আব্দল জলিল বলেন, ঈদ উপলক্ষে সয়াবিন তেলের চাহিদা আছে কিন্তু সরবরাহ নেই। ডিলাররা বলছেন সরবরাহ বন্ধ।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন বলেন, কোন কোন ব্যবসায়ী সোয়াবিন তেল মজুদ করেছে অপনি(সাংবাদিক) আমাকে অবহিত করলে আমি সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করব।