বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহক

রিয়াজ মাহমুদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০
বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহক

জনবল কাঠামোর সংকটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পটুয়াখালীর বাউফল পল্লীবিদুৎ সমিতির লক্ষাধিক গ্রাহকরা। এ উপজেলায় সরকার শতভাগ বিদুৎতায়ন করার কার্যক্রম হাতে নেয়ায় গ্রহক সংখ্যা বেড়েছে। কিন্ত সেই অনুপাতে জনবল কাঠামো বাড়ানো হচ্ছে না। পুরাতন জনবল কাঠামো দিয়েই চলছে অতিরিক্ত গ্রাহকদের সেবা কার্যক্রম ।

ফলে জনবল সংকটে ব্যহত হচ্ছে বিদুৎ সেবা। পল্লীবিদুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাউফল উপজেলায় বিদুতের গ্রাহক সংখ্যা এক লক্ষ ৫ হাজার। এই গ্রাহকদের বিদুৎ সেবা প্রদানে ৪৪ জন লাইন ম্যানের প্রয়োজন হলেও আছে ২৯ জন। অভিযোগ কেন্দ্রের প্রয়োজন ৭ হাজারে ১ জন করে মোট ১৫ টি । সেখানে রয়েছে মাত্র ৪ টি । এজিএম(কম) আছে ১ জন, প্রোকৌশলী আছে ৩ জন । বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা অনুসারে আরো এজিএম(কম) ও প্রোকৌশলী প্রয়োজন যা জনবল কাঠামোতে নেই। বিলিং ও মিটার রিডার প্রয়োজন ৫৭ জন, কিন্তু কাজ করছে ৩৬ জন। এই স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে গ্রাহক সেবা প্রদান করতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে পল্লীবিদুৎ কর্তৃপক্ষের।

পল্লীবিদুতের গ্রাহক বাউফল পৌরসভার হাসপাতাল রোডস্থ হেলথ কেয়ার ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ জলিলুর রহমান বলেন, কারনে অকারনে প্রায়ই বিদুৎ চলে যায়। এরপর আবার ফিরে আসতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পাড় হয়ে যায়। এ সময়ে জেনারেটার দিয়ে ডায়াগনষ্টিক ও ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। যা অনেক ব্যয়বহুল। ফলে ভোগান্তিসহ অর্থনৈতিক লোকসানে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অথচ এ ব্যাপারে পল্লীবিদুৎ কর্তৃপক্ষ কোন ভুমিকা নিচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।

বাউফল পল্লীবিদুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএম) এ.কে আজাদ বলেন, শতভাগ বিদুতায়নের ফলে যেভাবে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে সেই হারে জনবলকাঠামো বাড়েনি। তাই জনবল সংকটে আমারা গ্রাহকদের কাঙ্খিত বিদুৎ সেবা দিতে পারছি না। কোন কারনে বিদুতের সমস্যা দেখা দিলে জনবলের অভাবে বিদুতের লাইন পুনরায় সচল করতে অনেক সময় লেগে যায়। কাঙ্খিত বিদুৎসেবা প্রদান করতে হলে অবশ্যই নতুন করে জনবলকাঠামো বাড়াতে হবে। বিদুতের এই ভোগান্তি নিরসনে জনবল কাঠামো বৃদ্ধি করার জন্য পল্লীবিদুতের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


আরো নিউজ