পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের লেম্বুরবন এলাকায় সাগরের জোয়ারে ভেসে এলো একটি মৃত ডলফিন। বৃহস্পতিবার সন্ধার জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসে বালুচরে আটকে পড়ে। রাতে মৃত ডলফিনটি দেখতে পর্যটকসহ স্থানীয়রা সৈকতে ভীড় করলেও ডলফিনটি সংরক্ষণ কিংবা অপসারনে উদ্যোগ নেয়নি বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
প্রায় ১২ ফুট লম্বা ডলফিনটির পিঠে দুটি ও লেজের দিকে একটি প্রায় ১০ ইঞ্চি কাটা দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে মাছ শিকাররত জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছ খেতে আসলে জেলেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ডলফিনটি মেরে ফেলে। তার শরীর ও মুখ থেকে রক্ত ঝড়ছিলো। দু’ একদিন আগে ডলফিনটিকে মেরে ফেলা হয়।
এরআগেও কুয়াকাটা সৈকতে মৃত তিমি, ডলফিন ও কচ্ছপ ভেসে আসে সাগরের জোয়ারে। এছাড়া একাধিক জীবিত কচ্ছপ, ডলফিন ও হাঙ্গর ভেসে আসে। স্থানীয় ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা জীবিত প্রানীগুলো সাগরে অবমুক্ত করলেও মৃত জলজ প্রানীগুলো অধিকাংশ সময়ই মাটি চাপা কিংবা অপসারণে নেয়া হয়না কোন পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার দিনভর কুয়াকাটা সৈকতের বালুর নিচে বিপদজনকভাবে থাকা জিড়ো পয়েন্ট থেকে ইট কংক্রিকেটের স্থাপনা অপসারণ করে কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ। কিন্তু মৃত ডলফিনটি অপসারণে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
কুয়াকাটা আন্ধারমানিক ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম বাচ্চু জানান, আজ সন্ধায় লেম্বুর বন এলাকার সৈকতে প্রথম তারা মৃত ডলফিনটি দেখতে পান। এ সৈকতে প্রায় প্রতিদনই সামুদ্রিক প্রানী মারা যাচ্ছে সৈকতে অবৈধ যান চলাচল ও সাগর তীরে জেলেদের জাল ফেলার কারনে। তাদের দাবি লেম্বুরচর সৈকতটি সংরক্ষণ ও সৈকত সংলগ্ন সমুদ্রে জাল ফেলা বন্ধ করতে পারলে অনেক জলজ প্রানী রক্ষা পাবে।