শেবাচিমের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নুপুর আক্তার এর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে সর্বোও হারিয়েছে পুলিশের সাবেক এক বাবুর্চি আবুল কালাম মৃর্ধা। টাকা পয়সা লুটে নেওয়ার পরে তাকে বেধে মারধর করে সাদা স্ট্যাম্পে সিগনেচার রেখেছেন নুপুর আক্তার ও তার সাবেক আর এক স্বামী ও সন্তানেরা। এখানেই ক্ষান্ত নয় নুপুর আক্তার পর পর দুই দফায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বাবুর্চি কালাম মৃধা কে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কালাম মৃধা সাংবাদিকদের জানায় ২০১৬ সালে নুপুরের সাথে তার পরিচয় এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেখান থেকে দুজনে গোপনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ করে। বিবাহর পরে গোপনে দুজনে একসাথে দীর্ঘদিন বসবাস করে।
এরপর নুপুর আক্তার ও তার মেয়ে আঁখি চাকরি সরকারি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের কাছ থেকে পেনশনের ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আবুল কালাম মৃর্ধা জানায় তার কাছ থেকে পরে নুপুরে চাকরির জন্য আরো ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেয়। এবং চাকরি হলে পরে তা ধীরে ধীরে শোধ করে দেওয়ার কথা বলে নুপুর। অথচ চাকুরি হওয়ার ৩/৪ বছর পেরিয়ে গেল পাওনা টাকা পরিশোধে কোন ধরনের পাত্তা দিচ্ছে না নুপুর আক্তার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে নুপুর আক্তার কৌশেলে তাদের বিবাহর কথা অস্বীকার করে নোটারি পাবলিকের কাগজ পুড়িয়ে ফেলে ও কালামের কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা নেয় নি বল জানান। পরবর্তীতে বাবুর্চি কালাম মৃর্ধা আদালতে নুপুর আক্তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার কথা বললে কৌশলী নুপুর তার সাথে সমঝোতার কথা বলে এক পর্যায়ে গত ১৩ ই এপ্রিল বুধবার দিন নগরীর কালুখার বাড়িতে নুপুরের বাসায় কালাম কে মোবাইল ফোনে ইফতারের দাওয়াত দেয় এবং টাকা-পয়সার হিসাব নিকাশের কথা বলে আসতে বলে।এ সময় কালাম মৃধা ইফতারের জন্য নুপুর আক্তারের বাসায় গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নুপুর আক্তার, বাদশা, আরিফ, ছেলে আশিক, ও মেয়ে আঁখি আক্তার ভুক্তভোগী কালামকে ঘরের ভিতরে আটকে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।
এ সময় কালামকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তিনটি ১০০ টাকার ৩ টি স্টাম্প ও দুটি ৫০ টাকার স্ট্যাম্প সিগনেচার কালামের কাছ থেকে। ও কালামের পকেটে থাকা ব্যাংক থেকে তোলা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আটকে রাখে । পড়ে আহত কালাম ফোন দিয়ে তার মেয়েকে জানানে তার মেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে এ ঘটনার পর দায় এড়াতে দ্বিতীয় দফায় ১৫ এপ্রিল হাসপাতালে বসে নুপুর আক্তার ও তার ভাড়াটে লোকজন কলমের উপর হামলা চালায়। এবং কালামের মাথা ফাটিয়ে গুরুতর জখম করে।নিজের দায় এরাতে ঘটনার পর নুপুর মিথ্যে হামলার নাটক সাজিয়ে নিজে ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়।এদিকে আহত কালামের পক্ষ থেকে নুপুর আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়ছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার এস এম সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপের চেষ্টায় একাধিক বার তার মূঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে নায়।
এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে