নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল এবার কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মুখ-খুললেন।
রোববার রাত ৮টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, সত্যবচনের নামে কোম্পানীগঞ্জে সব অপকর্মের নায়ক হচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা নেতা এবং স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে সত্যবচনের নামে জঘন্য মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন মেয়র কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, আমি তার অনুসারীদের দায়ের করা দুটি মিথ্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে ঢাকায় অবস্থান করছি। মেয়র মির্জা রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন- আমার ১২ বছরের শিশু ছেলেও নাকি অস্ত্র হাতে তার পৌরসভা কার্যালয়ে আক্রমণ করেছে। আমি সত্যবচনের নামে এ ধরনের জঘন্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। তার ছেলে তাসিক মির্জা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, সে নাকি ভালো, আর আমার ১২ বছরের শিশু ছেলে নাকি সন্ত্রাসী। তাসিক মির্জার অপকর্মের বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জবাসী সবই জানে।
তিনি আরও বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে অনুরোধ- সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এখানে সত্যবচনের নামে চরিত্র হনন ও মিথ্যাচারের মহোৎসব চলেছে। তিনি নিজের স্বার্থে যখন যাকে ইচ্ছা মনে হচ্ছে, চরিত্র হনন করে ক্ষান্ত হচ্ছেন না। টেন্ডারবাজ, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বানাচ্ছেন।
আজম পাশা চৌধুরী রুমেল বলেন, মিথ্যা মামলায় শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করেছেন। আমার রক্ত-শ্রম ঘাম দিয়েই আজ মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এ অবস্থান। অথচ সত্যবচনের নামে অনবরত মিথ্যাচার করে এখানকার আওয়ামী লীগকে তিনি দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলেছেন। আর কিছু কুলাঙ্গারকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ও চরিত্র হনন করছেন আবদুল কাদের মির্জা।
আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্র আবদুল কাদের মির্জার কাছে বিক্রি করা হয়েছে কিনা- প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কথায় কথায় উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির রদবদল করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও মনোনয়ন দিচ্ছেন তিনি। এ ক্ষমতা তাকে কে দিয়েছে?