এগারো বছর পর ১৬ জানুয়ারি শনিবার মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে মোংলা পোর্ট পৌরসভায় মেয়র হিসেবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্বাচিত হোক সেটি চায় নতুন প্রজন্ম। ৩১ হাজার ৫ শো ২৮জন ভোটার শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ৩জন মেয়র, ৩৫জন কাউন্সিলর এবং ১২জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে সর্বশেষ মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিলো ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি। আন্দোলন-সংগ্রামের এক পর্যায়ে আইনি জটিলতা নিরসনপূর্বক ১১ বছর পর ১৬ জানুয়ারি শনিবার অবশেষে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে।
পৌরসভার মোট ভোটার হচ্ছে ৩১ হাজার ৫শো ২৮জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৬শো ৮১জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮শো ৪৭জন। মোট সাধারণ ওয়ার্ড ০৯, মোট সংরক্ষিত ওয়ার্ড ০৩, মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯২জন এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ০৫জন। ১২টি কেন্দ্রকে ধরে মোট ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আইন-শৃংখলা বিষয়ে নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে ৩জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। প্রতিদ্বন্ধী মেয়র প্রার্থীরা হলে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধ শেখ আব্দুর রহমান, বিএনপি মনোনীত ধানেরশীষ প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোঃ জুলফিকার আলী ও বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র) বড়শি প্রতীকের মোঃ মোকছেদুল আলম গামা। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩৫জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ১২জন
প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নির্বাচন কেমন হবে জানতে চাইলে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ (পিএফজি) এর মোঃ নাজমুল হক জানান, আশা করছি নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার এবার নির্বাচনে ৫ হাজার নতুন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পৌর নির্বাচনে কেমন মেয়র চান জানতে চাইলে নতুন ভোটার ক্রীড়াবিদ শেখ রাসেল বলেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে মোংলা পোর্ট পৌরসভায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেয়র নির্বাচিত হোক আমি তাই চাই।