আগৈলঝাড়ায় ১৫৯ মন্ডপে দূর্গা পুজার আয়োজন চলছে

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১
আগৈলঝাড়ায় ১৫৯ মন্ডপে দূর্গা পুজার আয়োজন চলছে

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলছে ১৫৯টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজার আয়োজন। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পুজার আয়োজন চলছে আগৈলঝাড়ায়।আগৈলঝাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ১শ ৫৯টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজার প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের হিসেব মতে, রাজিহার ইউনিয়নে ৪৭টি, বাকাল ইউনিয়নে ৩৯টি, বাগধা ইউনিয়নে ২৩টি, গৈলা ইউনিয়নে ২৬টি ও রত্নপুর ইউনিয়নে ২৪টি পুজা মন্ডপসহ সর্বমোট ১৫৯টি মন্ডপ ও তাতে প্রতীমা নির্মাণের কাজ চলছে। গত বছরের চেয়ে বাগধা ও গৈলা ইউনিয়নে এবছর ২টি পুজা মন্ডপ বেড়েছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মোশাররফ হোসেন জানান পুজা মন্ডপ গুলোর জন্য সরকারী অনুদান হিসেবে ইতোমধ্যই ৭৮ টন ৫শ কেজি চাল বরাদ্দ হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি পুজা মন্ডপে সহায়তা হিসেবে ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

প্রতীমা তৈরীর মৃৎ শিল্পী উপজেলার পাল পাড়ার বাসিন্দা শিব শংকর পাল, সুদেব পাল, জয়দেব পাল, জয়দেব পালের ছেলে সঞ্জয় পালসহ মৃৎ শিল্পীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মতো এবছরও প্রতিমার আকার আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা নির্মাণ করছেন তারা। প্রতিমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করেছেন জানিয়ে এখন রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলবেন প্রতিমার গায়ে।

পঞ্জিকা মতে, ৬ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেবীর আগমণী বার্তা বেঁজে উঠবে মর্তলোকে। ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে দেবীর দূর্গার নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ। ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার মহাসপ্তমী পুজা, ১৩ অক্টোবর বুধবার দেবীর মহাঅষ্টমী পুজা, ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানবমী পুজা ও ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দশমী বিহিত পুজা বিহীত সমাপনান্তে দেবী বিসর্জণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দশহরার। সমাপ্ত হবে পাঁচ দিন ব্যাপি শারদীয় দূর্গা পুজা।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্র্শক মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, দূর্গা পুজা সনাতন ধম্বাবলম্বিদের অন্যতম উৎসব হলেও অ-সাম্প্রদায়িক উপজেলা হিসেবে পরিচিত আগৈলঝাড়ায় সবার সম্প্রীতির বন্ধনে পুজা অনুষ্ঠিত হবার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুজা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জণ দেয়া পর্যন্ত মন্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রত্যেক পুজা মন্ডপে তাদের নিজস্ব কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দল আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে কাজ করবে। সাথে থাকবে গ্রাম পুলিশ সদস্য, পুরুষ-মহিলা আনসার সদস্য। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা মোবাইল টিমে কাজ করবেন।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD