রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বরিশালের আগৈলঝাড়া ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হওয়ার কারনে মুমুর্ষ রোগী পরিবহনে স্থানীয় জনসাধারণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স নতুন এ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হলো।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এ্যাম্বুলেন্স এর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাত, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মামুন মোল্লা, ডা. সৈকত জয়ধর, ডা. আলামিন হোসাইন, ডা. হাফিজুর রহমান দিপু, ডা. জাহেদ হোসেন, ডা. রাজু বিশ্বাস, ডা. সমীরন হালদার, ডা. সাবিনা আফরোজ, ডা. অনামিকা রায়, প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সিকদার, প্রেমানন্দ দাস, স্যানেটারী ইন্সেপেক্টর সুকলাল সিকদার, পরিসংখ্যানবিদ শহিদুল ইসলাম, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) মিজানুর রহমান, ষ্টোরকিপার মো. শাহ আলমসহ আরো অনেকে।
আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি জানান, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রত্যেকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিশেজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রদানকৃত অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্সটি যাতে রোগী পরিবহনে সঠিকভাবে ব্যবহার হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরোও বলেন, উপজেলার প্রতিটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ঠিকমত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, নতুন এ্যাম্বুলেন্সটির মাধ্যমে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা এখন নিশ্চিত করা যাবে। বর্তমানে হাসপাতালে যে এ্যাম্বুলেন্সটি রয়েছে সেটি বেশির ভাগ সময় অকেজো অবস্থায় পরে থাকতো। যে কারনে এতোদিন রোগীদের ঠিকমত সেবা দেয়া সম্ভব হয়নি। নতুন এ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় যে কোন জরুরী রোগীকে বরিশাল শহরের হাসপাতাল গুলোতে দ্রুত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে। এতে করে সরকারি হাসপাতালের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কয়েকগুন বেড়ে যাবে এবং বৃদ্ধি পাবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানও। আশা করছি মুমূর্ষু রোগী পরিবহনে এখন থেকে আর কোন সমস্যা হবে না।