ইউএনও’র নির্দেশে অবশেষে অ্যাসাইনমেন্টের নামে নেয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১
ইউএনও’র নির্দেশে অবশেষে অ্যাসাইনমেন্টের নামে নেয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান

দুর্নীতি ও নিজের স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্টের নামে এএসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা প্রায় ৮০হাজার টাকা অবশেষে ইউএনও’র নির্দেশে ফেরত দিয়েছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সা স্কুল এ্যান্ড কলেজের সেই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান।

মঙ্গলবার ও সোমবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ফোন করে স্কুলে ডেকে এনে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে আদায় করা অর্থ ফেরত দিয়েছেন। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাম প্রসাদ বালা ও অফিস সহকারী সুনীল বৈরাগী স্কুলে বসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।

এর আগে ২৪ তারিখ সংবাদ প্রকাশের পরে শনিবার রাতে অতি গোপনে স্কুলের কক্ষে কয়েকজন নিয়ে একটি সভা করেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান। ওই সভায় তার কৃত কর্মের জন্য ভর্ৎসনা করে সভায় উপস্থিত লোকজন।

গত ২৪ জুলাই বিভিন্ন অনলাইনে ও পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকায় পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনাকে অমান্য করে করোনা কালীন সময়ে ১শ ৯৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্টের নামে ৪শ টাকা করে বিনা রশিদে উত্তোলন করা ৭৯ হাজার ৬শ টাকা আদায়ের সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদ দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম অধ্যক্ষকে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম জানান, তিনি ওই অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে টাকা নেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তাকে ২০১৯ সালের বিভিন্ন পাওনার টাকা আদায়ের কথা বলেছেন মিজান। ২০২১সালে এসে কেন ২০১৯ সালে টাকা আদায় করা হবে এমন প্রশ্নের কোন সদোত্তর ইউএনও’কে দিতে পারেন নি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। সন্তোষ জনক উত্তর দিতে না পারায় তাকে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীর টাকা ফেরত দিচ্ছে কি না সে বিষয়েও মনিটরিং করছেন তিনি।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD