প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় অঞ্চলে যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে জনসাধারনের পাশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার সংক্রমণের হার বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলায় করোনায় সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ক্রমেই বিপদজনক হয়ে উঠেছে। করোনার বিস্তাররোধে স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে মোংলা পৌরসভা এলাকায় ৮ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেছে। স্থানীয় জনসাধারনকে সচেতনতার পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইমতিয়াজ আলম জানান, মোংলা বন্দর চ্যানেলে এবং পশুর নদীতে অবস্থান করা লাইটারেজ, কার্গো জাহাজ ও মার্চেন্ট শিপে কর্মরত নাবিকরা যাতে স্থলে আসা যাওয়া না করতে পারে সেজন্য কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূল ও চরাঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপকূল ও চরঞ্চলের কর্মহীন ও দুঃস্থ মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
কোস্ট গার্ড এর এখতিয়ারভুক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের কর্মহীন ও দুঃস্থদের মাঝে সহযোগীতার এই ধারাবাহিকতা নিয়মিত অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।