আইপিএলের চলতি আসরের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হানা পড়েছে। এবারের আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ— কলকাতার দুজন খেলোয়াড়ের শরীরে কোভিড-১০ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তারা হলেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়র। তাদের দুজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ইনফো ও ক্রিকবাজও একই তথ্য দিয়েছে।
যদিও গুঞ্জন উঠেছে— কয়েকজন স্টাফসহ দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়ের করোনা ধরা পড়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিনসসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও স্টাফ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের সবাইকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
পুরোপুরি নিশ্চিত হতে দলের সবার ফের করোন টেস্ট করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে অভিনেতা শাহরুখ খানের দল। ভারতীয় গণমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এমন খবরে শঙ্কায় পড়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাকিব আল হাসানও কি আক্রান্ত? করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ধরনের শিকার ভারত, তা অতিমারাত্মক পর্যায়ের। খুব কমসময়েই মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয় করোনার এই ধরনটি। ভারতের এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে গোটাবিশ্ব এখন হুমকির মুখে।
এসব কারণে সাকিবভক্তসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের আতঙ্কিত হওয়াই স্বাভাবিক। আইপিএল বা কেকেআরের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়ের করোনায় আক্রান্তের বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি আসেনি। যে কারণে ঠিক কতজন আক্রান্ত তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে বরুণ ও ওয়ারিয়রের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত বলা যায়। ক্রিকইনফো বলছে, স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র বাদে বাকি সবাই নেগেটিভ। সে হিসাবে সাকিব আল হাসান করোনায় আক্রান্ত নন বলেই জানা যাচ্ছে।
কলকাতার জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশ, সম্প্রতি কাঁধের চোটের জন্য স্ক্যান করাতে জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বরুণ। গ্রিন করিডর দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে সন্দীপ কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা নিশ্চিত নয় কেউ।
গত কয়েক ম্যাচ ধরে মাঠের লড়াইয়ে সাকিবকে নেওয়া হচ্ছে না। করোনাক্রান্ত বরুণ খেললেও একাদশ থেকে বাইরে রয়েছেন সাকিব।