গোপালগঞ্জের ইউএনও কর্তৃক অমুক্তি যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির সুপারিশ করার অভিযোগ

শাহীন মুন্সী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১
গোপালগঞ্জের ইউএনও কর্তৃক অমুক্তি যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির সুপারিশ করার অভিযোগ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) রাশেদুর রহমান কর্তৃক অমুক্তি যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির সুপারিশ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮ আগষ্ট আবাহানী ক্রিড়া চক্রের আয়োজনে ২ শত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনিবান স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আবুহোসেন তার বক্তব্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে অমুক্তি যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির সুপারিশ করার অভিযোগ করেন।

এসময় সংবধনা অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান,উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী লেকায়ত আলী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাশেদুর রহমানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিল।

মুক্তিযোদ্ধা আবুহোসেনের ঐ অভিযোগ যুক্ত বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গোপালগঞ্জের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিও বক্তব্যের ভাষা ছিল এমন হেয়ার ইজ এ ডকুমেন্ট, বড় বেদনার ডকুমেন্ট, অমুক্তি যোদ্ধাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধার সৃক্রিতী, কি অপরাধ করেছেন, অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কে দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি, কি জবাব দেবেন আল্লার কাছে, কি জবাব দেবেন আপনার পেশার কাছে, জবাব দিতে পারবেন না।

আবেগঘন এ বক্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন অনৈতিক যাচাই বাছাইয়ের ভূমিকা নিয়ে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর বলেন বর্তমান ইউএনওর নেত্রীত্বে সাংঘর্ষিক একটি যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা আমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়কে ও জানিয়েছি।

অপর দিকে ২০২১সালের পুনঃ যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য শেখ মোঃ ইউসুফ আলী বলেন আমাকে যাচাই বাছাই কমিটিতে রাখলেও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্ৰহনের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার কোন মতামত নেয়নী। এসকল অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল রহমান কে মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনী।

উল্লেখ্য বিভিন্ন সময়ে বাদপড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তভুক্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় গত ২০১৪ সালের অনলাইন আবেদন আহ্বান করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে দেশ ব্যাপি যাচাই বাছাই হয়। যাচাই বাছাই প্রকৃয়া নিয়ে অধিকাংশ জেলা উপজেলায় প্রশ্ন উঠলে পুনরায় যাচাই বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় মুক্তযোদ্ধা কাউন্সিল(জামুকা)। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮হতে ২২মার্চ২০২১তারিখে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় তিন সদস্য বিশিষ্ট যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD