গোপালগঞ্জে ভুল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে রোগীর ভোগান্তি

রাতুল হাসান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ বাংলা রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

গোপালগঞ্জে ভুল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে হাসিবুর (৩৫) নামের এক রোগীর ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী হাসিবুর মোল্লা লতিফপুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ মধ্যপাড়া গ্রামের ধনা মৌলভীর ছেলে। সে গত ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে পেটে ব্যথা জনিত কারনে অসুস্থ হলে মিতা রহমান নামের এক ডাক্তার গোপালগঞ্জ শহরের নামকরা একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে কিডনিতে পানি জমার কথা বলেন। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফ করালে কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। জানা গেছে ডাক্তার মিতা রহমান শহরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টাকার বিনিময়ে তড়িঘড়ি করে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে করে মাঝে মধ্যেই ভূল করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন এমবিবিএস ডাক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য দপ্তরের তদারকির অভাবে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটির পর একটি অপ চিকিৎসা ঘটনা ঘটেছে। এতে করে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে প্রতারিত হচ্ছে। ভূক্তভোগী রোগী হাসিবুর সাংবাদিকদের জানিয়েছে ভুল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের সূত্র ধরে তিনি এক সপ্তাহ বিভিন্ন ওষুধ সেবন করেছে।  দীর্ঘ এক সাপ্তাহ ভূল  ঔসুধ সেবন করার কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ভূল ঔসুধ সেবন করে ভয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।
ভূল আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টের বিষয়ে ডাক্তার মিতা রহমান সাংবাদিকদের কাছে জোড়া তালির ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের ভূল এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জের সিভিলে সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, একটি ভূল রিপোর্ট রোগীর জীবন হুমকিতে ফেলতে পারে। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিকে অভিযান পরিচালনা করছি।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD