চরফ্যাশনে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
কলাপাড়ায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেস্টা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

ভোলার চরফ্যাশনের নাংলাপাতা গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া ৮ বছর বয়সী এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে তোফায়েল হাজী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি
কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তোফায়েল হাজী উপজেলার নাংলা পাতা গ্রামের নসু খাঁনের ছেলে এবং চরকলমি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভিকটিম পরিবার বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খান কে অবগত করলে তিনি ভিকটিম কে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করে শশীভূষণ থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। রাতেই ভিকটিমকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভিকটিমের মা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে তোফায়েল হাজী তার সুপারী বাগানের টং ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে চাপ প্রয়োগ করে হুমকি দেয়। তাই ভিকটিম আগের ঘটনার বিষয়গুলো পরিবারের কাউকে জানায়নি।

বৃহস্পতিবার আবারও ধর্ষণ করলে বিষয়টি দেখে ফেলেন ভিকটিমের সহপাঠী অপর এক ছাত্রী। ওই সহপাটি ঘটনার বিষয়টি ভিকটিমের নানিকে জানালে তিনি টংঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে এসে ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলে আইনি সহায়তা দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। শুক্রবার তাদের কে থানার গিয়ে মামলার করার পরামর্শ দেন।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্ত তোফায়েল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ভিকটিম তার সম্পর্কে নাতনি । প্রাইভেট পড়ে তার বাগান বাড়ির সামনে দিয়ে ফেরার পথে নানা হিসেবে ভিকটিম দুষ্টুমি করে তাকে হাজি পাজি বলে। রাগ ক্ষোভের কারনে ভিকটিমকে একটি চড়-থাপ্পর মারি। এর পর আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে ওই পরিবারকে উসকানী দিয়ে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ করে।

চরফ্যাশন হাসপাতালে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারজানা ইয়াসমিন মুঠোফোনে বলেন, মেয়েটি অনেকবারই ধর্ষণের শিকার হয়েছে,
এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD