চলতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
চলতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু ও আবাসন হল খুলে দিতে পারবে।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসন ও ক্লাসে পাঠদান শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাদের আবাসন হল খুলে দিতে পারবে। তবে সেক্ষত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচায়পত্র (এনআইডি) নাই, তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। সুরক্ষা অ্যাপসে জন্ম নিবন্ধন নম্বর যুক্ত করে টিকার জন্য সেসব শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করতে পারবেন।

এদিকে যেসব শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার কারণে করোনার টিকা দিতে পারছেন না তাদের টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য বিশেষ একটি অ্যাপস তৈরির জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, যেসব শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার কারণে করোনার টিকা দিতে পারছেন না, তাদের টিকার আওতায় আনার জন্য ইউজিসি একটি অ্যাপস তৈরি করবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবে। এরপর ইউজিসি যেসব তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠাবে। এরপর শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কবে খোলা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাদের আবাসন হল খুলে দিতে পারবে। তবে সেক্ষত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনাই বেশি।

সভায় ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী আজ পর্যন্ত সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছে সাড়ে চার লাখ, আর দুই ডোজ নিয়েছে ৯০ হাজার শিক্ষার্থী।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তখন জানানো হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে। তবে এর আগে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিকা সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ টিকার আওতায় আসবে সেগুলো আগে খুলবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেড় বছর পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সোমবার খুলেছে মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল ও নার্সিং সংক্রান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD