চালক-শ্রমিকদের জড়ো করে ব্যাটারিক্সার লাইসেন্স দেয়ার ঘোষনা মেয়র

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
চালক-শ্রমিকদের জড়ো করে ব্যাটারিক্সার লাইসেন্স দেয়ার ঘোষনা মেয়র

ব‌রিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ ব‌্যাটারিচা‌লিত ই‌জিবাইক ও রিক্সা মা‌লিক শ্রমিকদের উ‌দ্দে‌শ্যে ব‌লে‌ছেন, আজ আপনাদের কিছু লোকজন এসে স্মারকলিপি দিয়েছে। তারা বলে শ্রমিকদের প্রতিনিধি। কিন্তু আসলে একটা দল অর্থাৎ বাসদের প্যাডে একটা স্মারকলিপি দিয়ে গেছে সিটি করপোরেশনে। কিন্তু সেখানে তারা কোন জায়গায় ব্যাটারিচালিত রিক্সার পারমিশনের বিষয়ে কিছু বলেনি। তারা চেয়েছে এই শহরে যে কোন যানবাহনের পার্কিং, মেইন মেইন ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু আমি জানি না মেইন মেইন কোন সড়ক ভাঙ্গা রয়েছে এই শহরের। তবে হ্যা শহরের কিছু রাস্তা ভাঙ্গা, যার কাজ এখনও শেষ করতে পারিনি। আমি বলেছি আমার মেয়াদের মধ্যে শহরের সকল রাস্তা ঠিক করে দেবো।

সোমবার (১৬ মে) বিকেলে বরিশাল নগনেরর বঙ্গবন্ধু উদ‌্যা‌নে ব‌রিশাল জেলা ও মহানগর (ব‌্যাটারিচা‌লিত) ই‌জিবাইক শ্রমিক কল‌্যান সংগঠ‌নের উদ্যোগে ব‌রিশাল মহানগর ই‌জিবাইক মা‌লিক শ্রমিক ও ব‌্যাটা‌রিচা‌লিত রিক্সার মা‌লিক শ্রমিক‌দের সমা‌বে‌শে প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন। তিনি বলেন, এই শহরের কারও কাছ থেকে কেউ চাঁদা নেয় না, সিটি করপোরেশন কোন পয়সা
নেয়না। মেয়র হওয়ার আগেও আপনাদের পক্ষে ছিলাম, মেয়র হওয়ার পরেও পক্ষে আছি। সিটি করপোরেশনের যে ২৬১০ টি গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়েছিলো। সেই বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারন ৫-১০ হাজার গাড়ি, যাদের রেজিষ্ট্রেশন নাই তারা রাস্তায় পয়সা দিয়ে চলছে আর আপনারা যারা বৈধ তারা সিটি করপোরেশনকেও পয়সা দিবেন আবার রাস্তায় অন্য কাউকে পয়সা দিবেন এটা হয় না। এসব কারনে বছরে ১ কোটি টাকার গচ্ছা হচ্ছে সিটি করপোরেশনের। তারপরও বলেন আপনারা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমি কোথাও
বাধা দিয়েছি।

তিনি বলেন, মানুষের মুখে শুনেছেন মেয়র সাহেব এটা করে ওটা করে। কিন্তু এই শহরে কারা টাকা উঠায়। আওয়ামালীগেরে লোকেরা নয় বিভিন্ন দলের নামে উঠছে টাকা। প্যাডেল যেটায় ব্যাটারি লাগানো হয়েছে সেই রিক্সার জন্য বিআরটিএর অনুমোদন চায় তারা।প্যাচ বাজিয়ে পয়সা খেতে পারবেন না দেখে এখন বলছেন বিআরটিএ এর কথা। এখন আর সিটি করপোরেশনের অনুমোদন লাগবে না।সিটি করপোরেশনের হলে আপনারা সকাল-বিকাল আমাকে ধরতে পারবেন, আর বিআরটিএর হলে মন্ত্রনালয় থেকে আইন পাশ করতে হবে। এখন কি সেই আন্দোলন করবেন, না আমি যেটা করছি সেটার সাথে থাকবেন। তিনি বলেন, আজ যে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের কথা তো দেখিনা। একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কথা লেখা। যেই তারা আজ শুনছে আমি পারমিশন দিতেছি। এখন তারা নাটক শুরু করছে। আমি আগে কোনদিন এসব কথা বলিনি, আজ বলতে বাধ্য হলাম। কোন লোকের কাছে আপনাদের পয়সা দিয়ে চলা লাগবে না।যদি পয়সা দেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠান বরিশাল সিটি করপোরেশন, যারা এগুলো গুছিয়ে দেয়ার অধিকার রাখে। সরকারের রাজস্বে পয়সা দেবেন, কোন ব্যক্তিকে নয়। কোন ব্যক্তি আপনাদের কোন পারমিশন করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। সিটি করপোরেশনই lআপনাদের পারমিশন দিতে পারছে, আপনাদের দেখভাল করতে পারছে, আমি মেয়র না থাকলে যে থাকবে তাকেও ধরতে পারবেন কিন্তু এখন আপনারা ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কিধরবেন। তখন গরীবের পেটে লাথি মারা হয়ে যাবে। নেতারা তখন আপনাদের মাথার ওপর বসে
মাল খাবে।

তিনি বলেন, যারা টাকা-পয়সা উঠায় আপনাদের ক্ষতি ছাড়া কিছু চায়না, আপনাদের পাশে নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে সরকারকে যারা গালি দেয় তারা।ভালোবাইসা পাশে নেয়া না। এই যে ১০-২০ -৫০ টাকা আপনারা দিতেছেন, কিন্তু চিন্তা করেছেন কখনও হাজার হাজার লোক দিয়ে যখন তা ওঠে, তখন তা কি পরিমান হয়! আর যারা দেখায় রিক্সাওয়ালাদের কাছ থেকে ঘটে,মাটির ব্যাংকে ১ টাকা নিয়া নির্বাচনে নামে, তাদের এত টাকা এখন আসে কেথা থেকে,রঙ্গিন রঙ্গিন প্রোগ্রাম করে কোথা থেকে । হয় আপনাদের চুষে খায় নয়তো বাহিরের দেশ থেকে টাকা আসে। মেয়র বলেন, আমার সামর্থ অনুযায়ী আমি আপনাদের জন্য করে যাবো। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি চার্জের ব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা চার্জ দিয়ে টাকা দিবেন, সরকার টাকা পাবে। আর ওই চার্জিং স্টেশনে আপনাদের মতো আরও চারজন ভাই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। আমি কারও হুমকি ধামকির ভয়ে দাবি পুরন করিনা, তবে আপনাদের আমার কাছে চাওয়াও লাগে না। আমি দুই বছর আগে পার্কিং এর কথা চিন্তা করছি, এখন mসে কথাই আমাকে স্মারকলিপির মাধ্যমে বলা হচ্ছে। আর স্ট্যান্ডের নামে আপনারা যে টাকা তাদের দিচ্ছেন তা কিন্তু সরকার পাচ্ছে না।টাকা কিন্তু লুটপাট হয়ে মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে। আমার সরকার তো পাচ্ছে না বরং আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা
হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যাটারি চালিত রিক্সার প্রতিটি চালকের সাত দিনের প্রশিক্ষন হবে, আপনাদের জন্য আলাদা আইন হবে, সব রাস্তা দিয়ে চলতে পারবেন। পুলিশের সাথে সাথে আলাদা কর্মীও দেয়া হবে যাতে আপনারা আলাদা লাইনের ব্যবহার করতে পারবে এবং কেউ আপনাদের টাকা পয়সা অবৈধভাবে লুটতরাজ করতে না পারে।আমাকে যদি সুযোগ দেন, সরকারের যে সিস্টেম বা নিয়ম আছে তা মেনে করতে দেন। প্রতিটি চালকের লাইসেন্স দেয়া হবে, পোশাক দেয়া হবে। পোশাক ফ্রি পাবেন, কিনতে হবে না। আমাকে সময় দেন, ১-২ মাসের মধ্য সবকিছু রেডি করে সর্বোচ্চ তিনমাসের মধ্যে পারমিশন দিয়ে দেবো
ইনশআল্লাহ।আজকে থেকেই আপনাদের পারমিশন হবে না। বিভিন্ন দপ্তরসহ ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বসবো। আইন করবো নীতি করবো। তবে অনুমোদন হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।রিনিউ ফি আগের চেয়েও কমিয়ে দেব। এছাড়া যাত্রী নিরাপত্তায় গাড়ির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা তা চেক করা হবে। সমা‌বে‌শে ব‌রিশাল মহানগর শ্রমিকলী‌গের সাধারণ সম্পাদক প‌রিমল চন্দ্র দাসসহ অ‌নে‌কে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD