চিত্তরঞ্জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রমাণ মেলেনি

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২
চিত্তরঞ্জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রমাণ মেলেনি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ‘সত্যতা পাওয়া যায়নি’ উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। সোমবার (৩১ অক্টোবর) ডিএমপির নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোছা. পারভীন আখতার আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেছেন। একইসঙ্গে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় একই বছরের ১৪ অক্টোবর ঢাকার আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২১ অক্টোবর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরীব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।

রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দু’চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD