টিকটক-লাইকিতে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার চরম পরিণতি

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ১০ মে, ২০২১
টিকটক-লাইকিতে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার চরম পরিণতি

টিকটক ও লাইকি অ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেন বাগেরহাটের গৃহবধূ সোমা আক্তার (১৯) নামের এক শিক্ষার্থী। আর এজন্য তাকে জীবন দিতে হলো।

টিকটক ও লাইকি অ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় সোমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত (২৩)। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট শহরে দশানী উত্তরপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্ত্রীকে হত্যার পর আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত গভীর রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এদিকে রোববার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

নিহত সোমা আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। তিনি বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

থানায় আত্মসমর্পণকারী সোমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত দশানী উত্তরপাড়া এলাকার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বায়িং হাউসে কাজ করেন। প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১৯ সালে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়েছিল।

আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্তর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, লাইকি অ্যাপস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমার অ্যাকাউন্ট ছিল। সোমা সেসব অ্যাকউন্টে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করত। এসব নিয়ে স্বামী নাইমের সঙ্গে তার ঝামেলা ছিল।

শনিবার ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করেন শান্ত। বিকাল ৩টার দিকে দশানীর নাইমের বাড়িতে আসেন সোমা। সেখানে সন্ধ্যার দিকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সোমাকে হত্যা করেন নাইম। নাইমের বাবা-মা ঢাকায় থাকায় বাড়িতে শুধু তারা দুজন ছিল। সোমা পরকীয়ায় আসক্ত বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন নাইম।

সোমার ভাই রাসেল জানান, নাইম বেকার, কিছু করত না। আমার বোনকে খেতে পড়তে দিত না। এসব নিয়ে সংসারে ঝামেলা হতো। এ কারণেও হত্যা হতে পারে।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। হত্যাকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি হত্যার কথা স্বীকার ও কারণ পুলিশকে জানিয়েছেন। এরপরও হত্যার সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় জড়িত আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD