পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রলীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শহরের পাবলিক মাঠস্থ রিক্সা স্ট্যান্ডের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। পৌর আওয়ামী লীগ (জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি গ্রুপ) নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও বাউফল পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি (একাংশ) ইব্রাহিম ফারুক (৫৭),উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খান (৫০), বাউফল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ রানা (২৫), মো. আরিফ (২২), মো. সিদ্দিকুল্লাহ (৪৫), মো. মেহেদীসহ (২৭) দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ইব্রাহিম ফারুক ও হারুন অর রশিদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপের ছাত্রলীগের মধ্যে বাকবিতান্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি গ্রুপের পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ছাত্রলীগ মেয়র জুয়েল গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্চলীর একটি তোরা ভেঙ্গে ফেলে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঘটনার দিন(রবিবার) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে কুন্ডপট্টিস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শহরে একটি মিছিল বেড় হয়।
মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনের ফটক প্রদক্ষিন করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পাবলিক মাঠস্থ রিক্সা স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে এমপি গ্রুপের লোকজন মিছিলের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান দাবি করেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’