পটুয়াখালীর বাউফলে ছেলের কাছে ভরণপোষন চাওয়ায় আশির্ধো বাবাকে পিটিয়ে বাম হাতের মধ্য অংশ ও ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুল সম্পূর্ন ভেঙ্গে দিয়েছে পাষান্ড ছেলে। আহত বাবাকে আজ রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রোকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হতভাগা ওই বাবার নাম মোঃ সেকান্দার আলী। আর পাষান্ড ছেলের নাম সবুজ।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরের দিকে সেকান্দার আলী সিকদারের সেজ ছেলে সবুজ বাড়িতে বাঁশ কেটে সাবার করছিলেন। ওই খবর পেয়ে সেকান্দার আলী সিকদার বাড়ি যান। এরপর সেজ ছেলেকে বাঁশ কাটার কারণ জানতে চান। এসময় ছেলের সাথে তার তর্ক হয়। তিনি ছেলেকে বলেন,‘ আমার সম্পদ ভোগ করতে হলে আমাকে এবং তোমার মাকে ভরণপোষন দিতে হবে।’ এতে সেজ ছেলে রাজি হননি। বরং তার হাতে থাকা দায়ের উল্টো দিক দিয়ে তাকে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে বাম হাতের মধ্য অংশ ও ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুল ভেঙ্গে দেন। ঘটনার পর সেজ ছেলে সবুজ তাকে আটকে রাখেন । তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে দেননি।
এই খবর পেয়ে তার বড় ছেলে সিদ্দিকুর রহমান সিকদারের মেয়ে (নাতনী) মরিয়ম বেগম ওই বাড়িতে গিয়ে তার দাদাকে উদ্ধার করে রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ডাঃ আখতারউজ্জামানকে দেখান। এক্সের রিপোর্টে তার বাম হাতের মধ্য অংশ ও ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গল সম্পূর্ন ভেঙ্গে গেছে বলে জানান ওই চিকিৎসক। পরে তার হাত ও আঙ্গুল প্লাস্টার করা হয়।
সেকান্দার আলীর নাতনী মরিয়ম বেগম জানান, তার দুই চাচা বাড়িতে থাকেন। তার দাদার সম্পদ ভোগ করেন। অথচ তাকে ও দাদীকে ভরণপোষন দেননা। ভরণপোষন চাইলে মারধর করেন। এর আগেও কয়েক বার তার দাদাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তার দাদা নিরুপায় হয়ে হাত পেতে জীবন চালান। রাতে মসজিদে কিংবা কোন দোকান ঘরের সামনের বেঞ্চে ঘুমান। আর তার দাদী কখনো মেয়ের বাড়ি, আবার কখনো তার বাড়িতে এসে থাকেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ অপরাধীকে গ্রেপ্তারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’