বাউফলে নৌকা ডুবাতে একাট্রা আ’লীগের বিদ্রোহীরা

রিয়াজ মাহমুদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধিনে রাখার দাবি

পটুয়াখালীর বাউফলের নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে নৌকা ডুবাতে একাট্রা হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ভোটের মাঠে নৌকার গনজোয়ার সৃষ্টি হলেও তা ঠেকাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিদ্রোহীদের হামলায় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেক।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা মার্কায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগের তিন নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলীয় পদ থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে তাঁদেরকে। তবুও থেমে নেই তারা। নৌকাকে ডুবাতে চালাচ্ছেন নানা রকমের অপপ্রচার। নৌকাকে ঠেকাতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনাও বেড়েছে এলাকায়।
কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান শামিম মুন্সি জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার অভিযোগে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তিন নেতাকে বহিস্কার করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এরা হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু(চশমা মার্কা), সহসভাপতি মো. বশার খান(আনারস মার্কা) ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক এনামুল হক অপু(অটো রিক্সা মার্কা)। এরপরেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা। নৌকার বিজয় সুনিশ্চত জেনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তারা।
নৌকার প্রার্থী ও কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, আমার দুই ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামী মহিউদ্দিন লাভলু (বহিস্কৃত) জামিনে মুক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁর সন্ত্রাসী বাহীনির প্রধান রাশমোহন, আব্বাস ও ইব্রহিমের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি দল আমার নেতা-কর্মীদেরকে বিভিন্ন স্থানে মারধর করছে ও নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে তারা। এতে আবারও লাভলু বাহিনী হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছি আমি। নৌকাকে ডুবাতে বহিস্কৃত নেতারা এক হয়ে আমার বিরুদ্ধেষড়যন্ত্র করছে। তাঁরা দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার জন্য তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
একই অবস্থা বিরাজ করছে ধূলিয়া,আদাবাড়িয়া, চন্দ্রদ্বীপ ও কনকদিয়া ইউনিয়নে। ওই সব ইউনিয়নেও নৌকাকে ডুবাতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। এতে নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচারণ বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন বাউফল উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD