বাম্পার ফলন : চাঁদপুরের আলুচাষীদের মুখে হাসি

দক্ষিণ বাংলা
দক্ষিণ বাংলা রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২

বৃষ্টিসহ নানা শঙ্কার মধ্যেও চাঁদপুরে চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আলুচাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।

ইতোমধ্যেই চাষিরা তাদের আলু তোলা শুরু করেছেন। গন্ডা প্রতি ১৫-১৮ মণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর আলুর আবাদ অনেক ভালো হয়েছে।

এ বছর চাঁদপুর জেলায় ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লোকসান ও বৃষ্টিজনিত কারণে ৭ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা গেছে। চাঁদপুরে ১২টি হিমাগারে ৭০ হাজার মে. টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার সফরমালী এলাকার আলুচাষী মো. মিজান খান ও শরিফ বেপারী বলেন, বৃষ্টির চিন্তায় অনেকে এবার আলুচাষ করেনি। আমরা যারা আলুচাষ করেছি, সবাই শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। কারণ গতবছর বৃষ্টিতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আল্লাহর দয়ায় এবার এ বছর কৃষি জমিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি গত বছরের লোকসান এবছর পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

পরিবহন মালিক বাদল মজুমদার বলেন, ফসলের মাঠ থেকে আলু কিনে বাজার পর্যন্ত নিতে খরচ ব্যয় বেড়ে যায়। চাষী থেকে যে আলু কেনা হয়, পরিবহন খরচ বাড়ার কারনে বাজারে আলুর দাম বেড়ে যায়। পথে পথে চাঁদা এবং টোলের কারণে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সরকার পরিবহন সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে কৃষকও লাভবান হবেন, আমরাও হব।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর ফলন ভালো। কৃষকরা আলু বিক্রি করে লাভবান হবে। ভবিষ্যতে আলুর আবাদ আবারও পূর্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। জেলায় এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ টন করে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টন উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD