বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ গড়ার প্রত্যাশা নতুন নেতৃত্বের

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২
বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ গড়ার প্রত্যাশা নতুন নেতৃত্বের

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা ও বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা। সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন। সে রকম একটি স্মার্ট সম্পর্ক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গড়ে তোলার চেষ্টা করব। এগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তবে আমরা এগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে দায়সারাভাবে, উটের মতো বালির মধ্যে মুখ গুঁজে থাকব সেটি হবে না। আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের স্বার্থে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন এবং ভিশন বাস্তবায়নের স্বার্থে দায়বদ্ধ থাকব।

দায়িত্বকে বিকেন্দ্রীকরণের কথা উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উপযোগী দক্ষ মানুষ আমরা হতে চাই। ছাত্রলীগে অংশীদারিত্বমূলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক সেটি আমরা চাই। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। দায়িত্বকে যদি আমরা আরও বেশি বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারি তাহলে সংগঠন আরও বেশি গতিশীল হবে। সাংগঠনিক জবাবদিহিতা থাকবে, কেন্দ্র এবং তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হবে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে যদি নেতৃত্ব আনা যায় তাহলে ভালো নেতৃত্বের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। সাংগঠনিক এবং গঠনতান্ত্রিক নিয়মগুলো প্রতিপালনের চেষ্টা আমরা করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে সবসময় আন্তরিক। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, গত কমিটিতে করোনার কারণে কিছু প্রেস কমিটি হয়েছে। সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এমনটি করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অতীত সোনালী ইতিহাসে ফিরে যাবে। আমরা যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন প্রতি সপ্তাহে, মাসে সারা দেশে সম্মেলনের উৎসব চলবে।

বাংলাদেশের অলি-গলি চষে বেড়াব উল্লেখ করে ইনান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশকে চষে বেড়ানোর ম্যান্ডেট ধারণ করেন, আমরা ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ এই বয়সে ছাত্রলীগকে গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনে সমগ্র বাংলাদেশের অলি-গলি চষে বেড়াব। আর এটা যদি আমরা না করতে পারি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রকৃত কর্মী হতে পারব না।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব ইউনিটের সকল ভালো কাজের অংশীদার যেমন আমরা তেমনি সকল খারাপ কাজের দায়ভারও আমাদের দুজনের। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের এ ভার দিয়েছেন সেটি আমাদের গ্রহণ করে চলতে হবে। গঠনতন্ত্র মেনে এবং বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ উপহার দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।

৩০তম সম্মেলনের দুই সপ্তাহ পর গতকাল রাতে সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি এর আগে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডাকসুতে এজিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ইনান ছাত্রলীগের বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD