মাদকের চেয়ে ভয়ংকর নকল ওষুধ, যাচ্ছে গ্রামেও

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মাদকের চেয়ে ভয়ংকর নকল ওষুধ, যাচ্ছে গ্রামেও

বেসরকারি একটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ফারুক হোসেন। থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকে ভোগা এ ব্যাংকার শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে এক মাস গ্যাসের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন তিনি। তবে মাস পার হলেও গ্যাসের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ধানমন্ডির একটি হাসপাতালের চিকিৎসক নতুন ফার্মেসি থেকে অন্য গ্যাসের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। পরের ১৫ দিন যেতেই সুফল পান ফারুক।

ফারুক হোসেনের দাবি, মোহাম্মদপুরের যে ফার্মেসি থেকে তিনি নিয়মিত ওষুধ কেনেন, তারা হয়তো নকল ওষুধ দিয়েছিল, অথবা ওষুধের মেয়াদ টেম্পারিং করা হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি অন্য গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ায় সুফল পান।

খোদ রাজধানীর চিত্র যদি এমন হয়, তাহলে গ্রামের অবস্থা কেমন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নকল ওষুধের সরবরাহ এখন গ্রামাঞ্চলে বেশি। নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো এভাবে নকল করা হয় যে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও প্রস্তুতকারক ছাড়া কারও চেনার উপায় থাকে না। কম দামে কিনে অসাধু কিছু ফার্মেসির মালিক বিক্রি করছেন এসব ওষুধ।

অসাধু ফার্মেসির মালিক ও নকল ওষুধ তৈরির চক্রের খপ্পরে পড়ে দেশের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী একটি চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, সক্ষমতা অনুযায়ী চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধের জোগান দিচ্ছে প্রস্তুতকারক দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া আমেরিকা, কানাডা, জাপানসহ বিশ্বের ১৫৬টি দেশে রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি ২০১৮ সালে ‘মেডিসিন প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ পদকে ভূষিত হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে, এত সক্ষমতা অর্জন সত্ত্বেও বাজারে কেন ছড়াচ্ছে নকল ওষুধ, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরও।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD