মানুষের পেটে ক্ষুধার আগুন : মান্না

দক্ষিণ বাংলা
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এক সঙ্গে তিন চারজন মন্ত্রী বলছেন আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে না। আমরা সবাই ভালো আছি। ভালোই যখন আছেন, তাহলে চিল্লান কেন? চুপ থাকবেন। কথা তো কম বলছে না। জিনিসের দাম বাড়ছে, কমাতেও পারেননি। মানুষের পেটে ক্ষুধার আগুন জ্বলছে।’

রবিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত স্বাধীনতা সমাবেশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাইরের বিশ্ব থেকে আনা ঋণের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আমাদের বিপদ বাড়বে। আমরা নিরাপদ থাকব না। আমাদের অভাব হবে তা না, আমাদের ভোটাধিকার চলে গেছে তাও না, আমাদের মান যাবে। আমাদের বিদেশিরা বলবে বেটা টাকা দে। গলায় গামছা লাগাবে। আমরা কথা বলতে পারব না। কারণ টাকা শোধ দেওয়ার অবস্থা থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় যেটা ঘটেছে, আমদের অর্থনীতিবিদরা যারা কোন দলটল করে না তারা বলছে সাবধান হন আমাদের লক্ষণ কিন্তু ভালো না। ভালো না কেন? কারণ গত ৬ মাসে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমেছে ৮ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে আমাদের কাছে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে বিদেশ থেকে আমরা যা আমদানি করি এই আমদানির টাকা পরিশোধ করতে পারব বড়জোর ৫ মাস। তারপর আমাদের কাছে টাকা থাকবে না।’

বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘এই সরকার এমনি এমনি যাবে না। সবাই মিলে না হোক এই মঞ্চে যারা আছে তারা সবাই এক। বাকিদের বলব আপনারা আপনাদের জায়গায় এক হন। দরকার হলে আরেকটা জোট বানান। একটা সভা হবে এইখানে, আরেকটা সভা হবে পল্টনে। একটা মালিবাগে, আরেকটা হবে মতিঝিলে পুরো এলাকা ঘিরে জনগণের ঢল নামবে। আমরা বলব বাবা তুই যা না হলে আমরা যাচ্ছি না।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণের পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। এদেশের মানুষকে বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। দিনের ভোট রাতে দিয়েছেন। আমরা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিচ্ছি।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সবকিছু জায়েজ করছে। বাস্তবে ১৮০ ডিগ্রী উল্টো দিকে আওয়ামী লীগ এখন অবস্থান নিয়ে তাদের কার্যকলাপ চালাচ্ছে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘আমাদের বৃহত্তর ঐক্যের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। সবাই মিলে এক মঞ্চে দাড়িয়ে যাওয়া ঐক্য নয়। বৃহত্তর ঐক্য মানে হচ্ছে সকল শক্তিকে এক লক্ষ্যে লড়াই করা। সেই লক্ষ্যটা হলো ভোটাধিকার।’

স্বাধীনতা সমাবেশ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD