হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত যেতে পারছে না পাসপোর্ট যাত্রীরা

দক্ষিণ বাংলা
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

করোনায় দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর সড়ক পথে টুরিস্ট ভিসা চালু হলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত যেতে পারছে না পাসপোর্ট যাত্রীরা। তবে বিভিন্ন রুট দিয়ে ভারতে যাওয়া যাত্রীরা দেশে ফিরতে পারছেন এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক পাসপোর্ট যাত্রী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এসে ভারত যেতে না পারায় ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।

এতে করে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। সময়, খরচ ও দুর্ভোগ রোধে এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে টুরিস্ট ভিসা চালুর দাবি পর্যটকসহ স্থানীয়দের।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ করে দেয় সরকার। করোনার সংক্রম কমে আসায় ১৪ মাস পর গত বছর ১৬ মে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এতে শুধুমাত্র ভারত থেকে পাসপোর্ট যাত্রীরা এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে দেশে আসতে পারছেন। তবে ভারত অভ্যন্তরে সমস্যার কারণে এই রুট ব্যবহার করে ভারতে যেতে পারছে না পাসপোর্ট যাত্রীরা।

এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আসা নবিনুর ইসলাম নামে এক পাসপোর্ট যাত্রী বলেন, আমি কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য বাই এয়ারে ভারতে গেছিলাম। এতে আমার দ্বিগুণ খরচ হইছে। যদি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু থাকতো, তাহলে কম খরচ ও অল্প সময়ে আমি ভারতে যেতে পারতাম, কারণ এদিক দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।

ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের পাশের মুদি দোকানদার রমজান আলী বলেন, করোনার কারণে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলে দেওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পাসপোর্ট যাত্রীরা আমাকে ফোন দিয়ে চালুর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। অনেকে আবার ভারত যাবার জন্য হিলিতে এসে ঘুরে যাচ্ছে। প্রতিদিনি ৫০ থেকে ১০০ মানুষ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালুর বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে।

বাংলা হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন বলেন, এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধের কারণে আমরা হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। কারণ আগে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু ছিল। ভারতে গিয়ে মালামাল দেখে আমদানি করতাম, কিন্তু এখন আর তা হয় না। ভারতে পণ্য দেখায় একটা আর ব্যবসায়ীরা পাঠায় আরেকটা, এতে করে আমাদের ব্যবসায়ীদের ক্ষতিতে পড়তে হয়।

ADVERTISEMENT

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছর ১৬ মে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে শুধুমাত্র ভারত থেকে যাত্রীরা আসতে পারছেন এই ইমিগ্রেশন দিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যেতে পারছেন না। ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রী গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করায় যাতায়াত শুরু হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রী গ্রহণ করলেই যাতায়াত শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি টুরিস্ট ভিসা চালু হলেও এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অনুমতি মেলেনি এবং ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো নির্দেশনা না আসায় পাসপোর্ট যাত্রীরা এই রুট দিয়ে ভারতে যেতে পারছে না। যখন এটি চালু ছিল তখন প্রতিদিন এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে ৬ শতাধিক পাসপোর্ট যাত্রী বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাতায়াত করত।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD