দক্ষিণ আফ্রিকায় বাড়তি স্পিনার খেলানোর ভাবনা বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২

‘আমরা শ্রীলঙ্কায় স্পিনে ভালো খেলেছি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পিনাররা একটু সহায়তা পেলে আমরা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছি। স্পিন খেলতে আমাদের সবসময়ই সমস্যা ছিল। মাঠের চতুর্দিকে রান তুলতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা আগ্রাসী হবো, কিন্তু স্পিনে রান তুলতে তো স্মার্টও হতে হবে। বাংলাদেশের স্পিনাররা ধীরে বল করেছে। তাই এসব বলে বড় শট খেলা কঠিন।’- ওয়ানডে সিরিজ হারের পর বলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচ মার্ক বাউচার।

দক্ষিণ আফ্রিকায় উইকেটগুলো সচরাচর পেস বান্ধব, দ্রুতগতির আর বাউন্সি। অথচ ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে বাংলাদেশ দলের স্পিনারদেরই কৃতিত্ব দিয়েছেন বাউচার। ওয়ানডের পর এবার টেস্টের লড়াই। সম্প্রতি বাংলাদেশ দল পেস বিভাগে ভালো করলেও প্রোটিয়াদের দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে দুই ম্যাচের এই সিরিজে স্পিনে প্রধান্য দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে সফরকারীরা। প্রয়োজনে বাড়তি একজন স্পিনার খেলাতে চায় বাংলাদেশ দল।

টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, ‘আমাদের বিপক্ষে কেমন উইকেট দিচ্ছে এটা কিন্তু বড় ব্যাপার। পরিসংখ্যান সবসময় একরকম থাকে না। পরিসংখ্যানের ওপর আমাদের একটু বিশ্বাস রাখতেই হয়। উইকেট দেখে বুঝতে পারব। যদি প্রয়োজন হয় বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে খেলব। উইকেটের চাহিদা অনুযায়ীই হবে। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, পুরো দলকেই ভালো খেলতে হবে। একা ভালো খেললে হবে না। সবাই তাদের কাজ ঠিকমত করলে সহজ হয়ে যাবে। ওয়ানডেতে তা-ই ছিল।’

সাকিব আল হাসান না থাকায় কম্বিনেশন ঠিক করতে একটু বিপাকে পড়তে হচ্ছে টাইগারদের। সাকিব থাকলে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বাড়তি আরেকজন স্পিনার খেলানো যেত। তবে সাকিবের জায়গা তাইজুল ইসলাম নিলে ব্যাটিং গভীরতা কিছুটা কমে যাবে। তবুও স্পিনার না হলেও বাড়তি একজন বোলার খেলানোর ভাবনার কথা জানালেন সুজন।

সুজন বলেন, ‘এখনও কম্বিনেশন ঠিক করিনি। মাউন্ট মঙ্গানুই (নিউজিল্যান্ডে জয়) টেস্টের ভাবনা তো আছেই। সাথে আরেকজন বোলার যুক্ত করা যায় কি না সেই ভাবনাও আছে। হয়ত ব্যাটিং একটু দুর্বল হবে। যেকোনো টেস্ট দলের প্রথম ব্যাটসম্যানদের গড় ৪০ এরও বেশি। আমাদের যখন এরকম হবে তখন হয়ত এই সাহসগুলো আরও বেশি দেখাতে পারব। এখন হয়ত একটু কঠিন হবে। উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

ওয়ানডে সিরিজের ক্ষত মুছতে স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট সিরিজটি জিততে চাইবে প্রোটিয়ারা। সেক্ষেত্রে স্পিন আতঙ্ক দূর করতে আরো বেশি পেস সহায়ক উইকেটের দিকে হাঁটতে পারে স্বাগতিকরা। এমন ভাবনা আছে বাংলাদেশ দলের। তবে উইকেট যেমনই হোক, নিজেদের সেভাবেই প্রস্তুত করছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

টিম ডিরেক্টর সুজন বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে এই উইকেটে তেমন পেস ছিল না। তবে আমাদের বিপক্ষে ওরা বাউন্স আর পেস দিতেও পারে। আমরা এটা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। যেটা আমাদের জন্য সমস্যা, এটা ওদের জন্যও সমস্যা। কারণ আমাদেরও এখন ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে এমন বোলার আছে।’

সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘এই কন্ডিশনে ২০ উইকেট নিতে গেলে পেসারদের ওপর নির্ভর করতেই হবে। আমাদের এখন সেই কোয়ালিটি আছে। এবাদত ১৪০-এ বল করে। আমাদের তিন পেসার আছে। নতুন বল কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে কাজও করছি। দেশের লেন্থ ও এখানকার লেন্থে ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডে যে লেন্থে বল করে সফল হয়েছে সেটা হয়ত এখানে কাজে লাগবে।’


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD