‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণীত’

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণীত’

সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হ‌ওয়ায় মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি মহলের অতিরঞ্জন ও দুরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করা গেছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ যে কয়টি আন্তর্জাতিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তার মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। এ কাউন্সিলে এর আগে বাংলাদেশ চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছে। সে সময় বাংলাদেশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এ ধরনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার উন্নয়ন এবং সুরক্ষায় বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।মানবাধিকার দু’একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং এটার ক্যানভাস অনেক বড় বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়ে‌ছে। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলো, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম এবং কিরগিজস্তান। ২০০৯ সাল থেকে ৪৭ সদস্যের এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হলো।

এদিকে, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশের ভোটের ব্যাখ্যায় শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান এবং যে কোনো বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য এবং নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যাখ্যা করে। এই রেজুলেশনে যে বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে বলা আছে। জাতিসংঘ চার্টার্ডের প্রতি বাংলাদেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এ ভোটে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না? -জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রস্তাবনা জাতিসংঘে এনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যই কাম্য নয়। যুদ্ধের উদ্দেশ্য যদি হয় আরেকটি দেশের একটি অংশ দখল করে নেওয়া, তাহলে কিন্তু এটা জাতিসংঘ চার্টার্ডের বায়োলেশন পরিস্কারভাবে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD