ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলি, ছাত্রদল নেতা নিহত

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলি ছাত্রদল নেতা নিহত

নয়ন মিয়া উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নয়ন মিয়া উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। এ আগে বিকেলে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমের ভাষ্য, বিএনপি নেতা-কর্মীরা অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় লোকজন জানান, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরে প্রচারপত্র বিলি করেন। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে মোল্লা বাড়ি থেকে তারা মিছিল বের করেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের বাজার, বাঞ্ছারামপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘুরে আবার মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে জড়ো হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, সেখানে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমের নেতৃত্বে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ এ সময় সায়েদুজ্জামানকে আটক করতে যায়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় ছাত্রদল নেতা নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির কর্মী রফিকুল ইসলাম ও সাইদুর রহমানকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্দি দে, উপপরিদর্শক আফজাল হোসেন ও বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম বলেন, বিকেলে বিএনপির এক শ থেকে দেড় শ নেতা-কর্মী আকস্মিক মিছিল নিয়ে থানার সামনে জড়ো হয়ে পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করেন। সেখানে টহল দলের দুই কনস্টেবলের কাছ থেকে তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কনস্টেবল এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় আমিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। তাদের এক কর্মীও আহত হয়েছে।’ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, ছাত্রদল নেতা নয়নের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD