মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকৃতি বন্ধ করে বামপন্থীদের ভূমিকা তুলে ধরুন: মেনন

ডেক্স রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে এদেশের বামপন্থীরাও কেবল গুরত্বপূর্ণ অবদানই রাখেন নি, অনেকক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকাও পালন করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বামপন্থীরাই আগুয়ান ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময় সামরিক শাসনের মধ্যেই ’৭০ এর ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন বামপন্থীরা। ওই সমাবেশের বক্তাদের ৭ বছর ও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষনা দিবসের একান্ন বছর পূর্তি উপলক্ষে বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির খানপুরাস্থ পার্টি অফিস সংলগ্ন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগদান করে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন।

তিনি আরো বলেন, কেবল তাই নয়, তার আগ থেকে মওলানা ভাসানী ও বামপন্থীরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাতে অগ্রগামী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও বামপন্থীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন।

মেনন আরো বলেন,কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে এখন ইতিহাসের বামপন্থীদের অস্বীকার কেবল নয়, অনেকক্ষেত্রে অসত্য তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।মেনন আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানী ও বামপন্থীদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মধ্যদিয়েই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন স্বার্থক হয়ে উঠবে। আগামী প্রজন্ম জানবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইহিাস।

উপজেলা পার্টি সভাপতি গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বরিশাল জেলা সভাপতি কমরেড নজরুল হক নীলু,কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.টিপু সুলতান,টিএম শাহজাহান,কমরেড মোজাম্মেল হক ফিরোজ,কৃষক নেতা আবুল কালাম প্রমুখ।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD