কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা, পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় সেই তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা, পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় সেই তরুণী

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে পুরো পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন সেই তরুণী। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও তা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, ধর্ষণের মামলা দায়ের করে আমি এখন আসামির মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অথচ যিনি আসামি তিনি ভিক্টিমের মতো নিরাপদেই আছেন। আমার ফেসবুকের কমেন্টে ও ইনবক্সে বিভিন্ন আইডি থেকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে। মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাসায় মোটরসাইকেলের বহর পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার গেটে এসব কথা বলেন ধর্ষণের শিকার তরুণী। এ সময় তার মা সঙ্গে ছিলেন। তার মা বলেছেন, আমরা কাউন্সিলরের অবিচারের শিকার হচ্ছি। আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। এর বিচার চাইতে গিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পর এখন বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে আছি।

কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, সেই তরুণী ও তার মা থানায় এসেছিলেন। তারা অভিযোগ এনেছেন মামলা দায়েরের পর কয়েকজন তাদের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু যে স্থানে বসে হুমকির ঘটনা ঘটেছে বলে ওই তরুণী বলেছেন সেটি মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা এলাকায়। এ জন্য তাকে কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। এ ছাড়া তিনি বলেছেন, তার ফেসবুক কমেন্টে অশ্লিলভাবে গালিগালাজ করেছেন। তাকে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের জন্য পরামর্শ দিয়েছি। লোকমান হোসেন বলেন, তরুণী যদি নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন এবং আমাদের অবহিত করেন আমরা অবশ্যই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ওই মেয়ে ও তার মা রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে আমার বাসার সামনে এসেছিলেন। তারপর আমি কাউনিয়া থানা পুলিশকে জানালে তারা এসে সেই মেয়ে ও তার মাকে সরিয়ে নেন। আমার কথা হলো, আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আবার আমার বাসার সামনে কী জন্য আসবে? এটি দৃশ্যমান একটি ষড়যন্ত্র।

রনি আরও বলেন, এই মেয়ে আমার পেছনে লেগেছে দেখে ১২ মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। তারপর তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমি চাই ঘটনার তদন্ত হোক। তদন্তে আমি দোষী হলে যা বিচার হয় তা মেনে নিব। প্রসঙ্গত, সোমবার (১৬ মে) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থী। পরে আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD