গোপালগঞ্জে শিক্ষকের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

শাহীন মুন্সী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

গোপালগঞ্জে (সমির বিশ্বাস) নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন লক্ষী সিংহ নামের এক গৃহবধূ। মামলা নম্বর-৩৩৯/২১ ধারা ৯(১)।অপর দিকে অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল হওয়ায় মামলা থেকে ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকায় ভূকছে ধর্ষনের শিকার হওয়া ঐ নারী। ইতিমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গোপালগঞ্জ এর এসআই (হিমানিষ বিশ্বাস) ধর্ষিতা নারীর বিপক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বাদী আদালতে নারাজি দাখিল করে সিআইডিতে তদন্ত দেওয়ার আবেদন করেছে। বাদী তার নারাজি আবেদনে বলেছেন, পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হিমানিষ বিশ্বাস আসামি (সমির বিশ্বাস) এর থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ডাক্তারী পরিক্ষার রিপোর্টে ধর্ষনের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও ধর্ষকে বাঁচাতে মনগড়া ও বানোয়াট প্রতিবেদন দিয়েছে।

এর পূর্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হিমানিষ বিশ্বাস এর আচরণে অসন্তোষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত না হওয়ার আশংকায় পুলিশের আইজি বরাবর অভিযোগ করেছিলেন ধর্ষনের শিকার হওয়া ঐ নারী। বর্তমানে ঐ অভিযোগটির তদন্ত হচ্ছে।অভিযুক্ত সমির বিশ্বাস টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৯ নং মিত্রডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গোপালপুর গ্ৰামের মনিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে। শিক্ষক সমির বিশ্বাসের এক স্ত্রী ও ২ টি পূত্র সন্তান রয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের ঘোষের-চর গাবতলা এলাকায় শশুর বাড়িতে থাকতেন। তার স্ত্রী উরফি ইউনিয়নের ৩১ নং মানিকহার পশ্চিমপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। একটি সূত্র বলছে, সমির বিশ্বাসের এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড জানাজানি হওয়ার কারনে স্ত্রী সন্তান তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে সে গ্ৰামের বাড়ীতে বসবাস করছে।

ভুক্তভোগী লক্ষী সিংহ গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বরাবর তার আরজিতে লিখেছেন শিক্ষক (সমির বিশ্বাস)আমাদের বাসায় এসে আমার ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতেন, সেই সুবাদে পরিবারিক ভাবে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক সমির তর পারিবারিক বিশেষ প্রয়োজনে আমার স্বামীর কাছথেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নেয়, সিকিউরিটি বাবদ তার স্বাক্ষর যুক্ত চেক ও ষ্টাম্প দেয়। ধারকৃত টাকা যথা সময়ে ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে আমার স্বামী টাকা উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করে। মামলার কথা শুনে শিক্ষক সমির ক্ষিপ্ত হয়। আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দেয়। মামলা তুলে না নিলে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভুমকি দেয়। এর কিছুদিন পর ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখ সন্ধা ৭ টার সময় প্রতারক সমির আমাদের মৌলভী পাড়ার ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে, আমার স্বামী সন্তান বাসায় না থাকার সুযোগে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমির বিশ্বাস আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন, মামলা গুলো আদালতে চলমান রয়েছে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD