টিকাকেন্দ্রে জাবি শিক্ষার্থীদের মারধর, মহাসড়ক অবরোধ

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
টিকাকেন্দ্রে জাবি শিক্ষার্থীদের মারধর মহাসড়ক অবরোধ

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাবির দুই শিক্ষার্থী মারধর শিকার হন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীদের। এ অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাবি শিক্ষার্থীরা। প্রায় একঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে এ অবরোধ তুলে নেন তারা।রোববার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে এ অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবরোধকারীরা জানান, রোবরার টিকা নেওয়ার নির্ধারিত দিনে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মাজেদুর রহমান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।সেখানে তাদের উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময় শেষ হয় যায়। তবে সময় শেষ হলেও টিকাকেন্দ্রে তারা ছাড়াও আরও ৩-৪ জন ব্যক্তির টিকাগ্রহণে বাকি থেকে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদেরকে টিকা প্রদানের অনুরোধ করলে স্বেচ্ছাসেবকরা জাবি শিক্ষার্থী শুনে ‘অসহযোগিতামূলক’ আচরণ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা মারধর করেন।এ ঘটনার পর সাভার মডেল থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাবি শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবরোধের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার উপযুক্ত বিচার হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানান। পরে সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।মামলার ব্যাপারে সাভার মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা খান শাহরিয়ার বলেন, এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি, তবে এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অবশ্যই মামলা হবে।সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সায়েম হুদা বলেন, আমরা যেখানে ২৩ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছি, সেখানে এ ধরনের কোনো কিছু কাম্য নয়। ইতোমধ্যেই পুরো স্বেচ্ছাসেবক টিমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর তারা সরকারি কেউ না হওয়ায় এর বেশি কিছু করা সম্ভব হয়নি। আহত শিক্ষার্থী দুজনের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD