টানা চারদিন ধরে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আজ অনেক নদীর পানি গত তিনদিনের উচ্চতার মাত্রা ছাপিয়ে গেছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরইমধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে বরিশাল সদরের শায়েস্তাবাদসহ কিছু জায়গাতে নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে। এছাড়া সাগরের কাছাকাছি নদীগুলোতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকায় নিম্নাঞ্চলসহ গ্রামাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানির স্তরের তথ্যবার জোন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি আজ বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে আজ দিনের সর্বশেষ জোয়ারে ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার বা সোয়া ১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। এদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার বা ১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, আজ দক্ষিণাঞ্চলের কিছু নদীর পানির উচ্চতা গত কয়েকদিনের থেকে বেশি। পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।