পুঠিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গন্ডগোহালী বিলের স্যালো মেশিনের পাইপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস। বিষয়টি জানার পর উৎসুক জনতা ঐই বিলে ভিড় করতে দেখা গেছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে বিষয়টি জানার পর পুঠিয়া থানা পুলিশ মাটি দিয়ে পাইপের গ্যাস বাহির হওয়ার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ঘটনাটি জানার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছর আগে উপজেলার ধোপাপাড়া বিলে পরিত্যক্ত একটি মেশিনের পাইপে গ্যাস বের হওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় গ্যাস বের হওয়ার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে এলাকাসাসীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত তিন বছর আগে পুঠিয়া অলস্কায়ার নার্সারীর মালিক মফিজুল ইসলাম ডলার উক্ত বিলে নিজের জমিতে পানি সেচের জন্য স্যালো মেশিনের পাইপ পুতে।

এতে ঐই এলাকার অন্যান্য জমির মালিকেরা এই পাইপ দিয়ে জমিতে সেচ নিয়ে থাকে। গন্ডোগোহালী এলাকার করম আলী ও কদম আলী সারাদিন পানি সেচের পর সন্ধ্যায় মেশিনে একটি বিকট শব্দের পানি আশা বন্ধ হয়ে যায়।

পরে তারা মেশিনটির কাছে এসে দেখতে পায় পাইপের মধ্যে গুমগুম শব্দ হচ্ছে। তারা মেশিনটি বন্ধ করে পাইপের মুখের টিউবওয়েল খুলতেই গ্যাসের গন্ধ পায়। সে সময় তারা তাদের কাছে থাকা ম্যাচ দিয়ে পাইপের মুখের কাছে আগুন নেওয়ার সাথে সাথে আগুন ধরে যায়।

পাইপের মুখের আগুনের শিখা প্রায় দুই থেকে দেড় ফিট উচ্চতায় উঠে জ্বলতে শুরু করে। এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ জানান, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এছাড়াও তিনি বলেন, রাজশাহী এলাকাটি অতি প্রাচীন একটি জনপদ। কালের বির্বতণের সাথে সাথে এলাকায় বসবাসরত মানুষ ও গাছপালা মটিতে মিশে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। অত্র এলাকায় গ্যাস আছে কিনা তিনি অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করার কথা এ কর্মকর্তা বলেন।