বরিশালে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর শিশুসহ আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ বাংলা রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

বরিশালের গৌরনদীতে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে প্রবাসীসহ স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়েকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। হামলাকারীরা প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট করে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকার দিকে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন প্রবাসী নূর ইসলাম হাওলাদার, স্ত্রী মরজিনা বেগম এবং তার দুই মেয়ে । এ ঘটনার পরে আহত কাতার প্রবাসী নূর ইসলাম হাওলাদারকে গৌরনদী থানা পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। তবে ঐদিন রাতে প্রবাসী নূর ইসলাম হাওলাদারের কাতার জাওয়ার ফ্লাইট বিঁধায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনাই। অভিযোগ ওঠে পাওনা টাকা চাওয়াতে প্রবাসী নূর ইসলাম হাওলাদার বাড়িতে এমদাদ হাওলাদার, শাওন হাওলাদার, মোতাই হাওলাদার, মুকুল হাওলাদার, জাহিদ মেলকার এবং সোহেল হাওলাদার সহ অঙ্গাত আরো ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে প্রকাশ্যে এই হামলাকান্ড চালায়।
বরিশালে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর শিশুসহ আহত ৪

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বৃহস্পতিবার রাতে নূর ইসলাম হাওলাদার পারিবারিক কাজে বাড়িতে আসে এবং শুক্রবার সকালে নূর ইসলাম হাওলাদার ঘুমন্ত অবস্থায় এমদাদ হাওলাদার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়, সন্ত্রাসী বাহিনি নূর ইসলাম এর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। হামলার শিকার নূর ইসলাম হাওলাদার জানায় সন্ত্রাসী এমদাদ হাওলাদার এর ছেলে শাওন হাওলাদার বিদেশে যাওয়ার সময় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, মটর সাইকেল ক্রয় বাবদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, দোকানে মাল ক্রয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং সমসাময়িক আরো অনেক টাকা ধার নেয়। এমদাদ হাওলাদার এই টাকা নেওয়ার সময় তাকে একটা জায়গার দলিল দিবে বলে প্রতিজ্ঞা করে। প্রবাসী নূর ইসলাম হাওলাদার তাহার কাছে মোবাইল ফোনে এই টাকা চাইলে অকথ্য ভাবে গালাগালি করে এবং নূর ইসলাম হাওলাদার কে দেখে নিবে বলে। প্রবাসী নূর ইসলাম হাওলাদার দেশে যাওয়ার একদিনের মধ্যেই সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরসহ লুটপাট করে এমদাদ হাওলাদার। এ সময় ঘরে থাকা নগদ ৫ লক্ষ টাকা, একটা আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স এবং ঘরে থাকা ৫ ভরি স্বর্ন অলংকার নিয়ে যায়। এমদাদের ছেলে শাওন হাওলাদার কাতারে ইয়াবার ব্যাবসা করতো এ জন্য কাতার পুলিশ তাকে জেল দেয় অতঃপর তাকে দেশে পাঠাইয়া দেয়। এমদাদ হাওলাদার এর সন্ত্রাসী বাহিনির আর এক সদস্য মুকুল হাওলাদার ডাকাত বাহিনীর প্রধান এবং তাহার বিরুদ্ধে থানায় একাদিক মামলা ও দায়ের করা আছে, আর এক সদস্য মোতাই হাওলাদার এলাকায় শুধের ব্যাবসা করে এবং গরিব মানুষ টাকা না দিতে পারলে তাদের উপর অত্যাচার চালায়। এমদাদ হাওলাদার অনুসারী জাহিদ মেলকার মার্ডার মামলার আসামি এখন জামিনে আছে। নূর ইসলামের এলাকার লোকজন জানায় নূর ইসলাম হাওলাদার একজন সৎ ও ভাল মানুষ, এলাকার গরিব দুখি মেহনতী মানুষের বিশ্বস্ত আশ্রয় দাতা। নূর ইসলাম গরিব দের পাশে সব সময় থাকে এবং নিজস্ব অর্থায়নে নিজ এলাকায় ত্রান বিতরন করে। অন্যদিকে এমদাদ হাওলাদার গরিবের জন্য সরকার এর কাছ থেকে অনুদান নিয়ে নিজের পকেট ভারি করে, এমনকি নূর ইসলাম হাওলাদার এর কাছ থেকে প্রতি বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যু বাষিকিতে কাংগালী ভোজ এর কথা বলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে সেখানে সে মাত্র ১০ হাজার টাকা প্রদান করে বাকি টাকা নিজের পকেটে রাখতো। এ কথা নূর ইসলাম হাওলাদার জানতে পেরে এই বছর এই ২০ হাজার টাকা সরাসরি চেয়ারম্যান এর বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে তাতে এমদাদ হাওলাদার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় কেনো তার মাধ্যমে টাকাটা প্রদান করা হয় নাই। আমাদের জানা মতে নূর ইসলাম হাওলাদার রাজনীতির সাথে জড়িত না, আমরা এলাকাবাসী এই জগন্য কাজের তীব্র নিন্দা এবিং প্রতিবাদ জানাই।

হামলার বিষয়ে গৌরনদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, এটা তাদের পারিবারিক পারিবারিক দ্বন্দ্ব আমার গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD