বাউফলে ভোটে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

রিয়াজ মাহমুদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত বাউফল-দশমিনা উপজেলা নারী সদস্য পদে ভোটে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী মোসা. রুবিনা আক্তার। সোমবার রাত ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপরেই টাকা চাওয়ার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাপক নিরপত্তা দিয়ে ভোট সম্পন্ন হয় সোমবার। ভোটে নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে দোয়াত কলম প্রতীকে কামরুন নাহার, হরিণ প্রতীকে পশারী রানী, টেবিলঘড়ি প্রতীকে মিসেস ফাতেমা আলম ও ফুটবল প্রতিকে মো. রুবিনা আক্তার প্রতিদন্ধিতা করেন। এর মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে কামরুন নাহার ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হলে নিকটতম প্রতিদন্ধি প্রার্থী হরিণ প্রতীকের পশারী রানী পায় ১২০ ভোট। অপর দিকে ফুটবল প্রতীকে রুবিনা আক্তার ৩৬ ভোট পেলেও আরেক প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মিসেস ফাতেমা আলম পেয়েছেন শুণ্য ভোট।
ভিডিওতে দেখা যায়, রুবিনা আক্তার বলেন, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটারদের ২হাজার করে টাকা দিয়েছি। তাঁরা টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে ভোট দিবে। কিন্ত তাঁরা অনেকেই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা আমাকে ভোট দেয়নি তাঁরা অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছে। তাঁরা বলেছে আপা আপনি মন খার্পা কইরেন না। আমি অনেক কান্না কাটি করেছি। কিন্তু এই মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমাকে টাকা ফেরত দিতে দিচ্ছে না। বরং অপমান করছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যদিও ওই মেম্বারকে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বকে ভোটার বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে । আর এই প্রার্থী দিয়েছেন দুই হাজার টাকা! সে কিভাবে ভোট পায়।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, নির্বাচনে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন অবৈধ। এ বিষয়ে যদি কেহ লিখিত অভিযোগ দেয়। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD