বাউফলে মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকি

রিয়াজ মাহমুদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১
প্রাণনাশের হুমকির

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন বাদি ও তাঁর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলার বাদি নিলুফা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, কেশবপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার এলাকায় স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি। তাঁর স্বামী ছোবাহান মেলকার একজন ব্যবসায়ী। বসতঘরে সঙ্গেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাঁর। গত ১০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাঁর বসতঘরে ও স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ লাভলুর সমর্থকরা। এ সময় মারধর করা হয় তাকে, তাঁর স্বামী ছোবহান মেলকার ও প্রসূতি মেয়ে রিয়া মনিকে। লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয় নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল। পরে চিকিৎসা নিয়ে তিনি নিজেই বাদি হয়ে ওই ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাবলুসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১৩ এপ্রিল বাউফল থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর- ১৭) দায়ের করেন। আর এতেই বিপাকে পরেন তিনি। ওই মামলা তুলে নিতে আসামিরা কয়েকজন বিভিন্ন নম্বরের মোবাইলফোনে ও প্রকাশ্যে নানাভাবে চাপ প্রয়োগসহ তাকে ও তাঁর পরিবারের লোকজনের হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আসামিদের কয়েকজন প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছেন না তাঁদের। ফলে নিরাপত্তাহীন ভিতসন্ত্রস্ত দিন কাটাচ্ছেন তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন।

তবে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ লাভলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘প্রতিপক্ষ আমাকে ও আমার কর্মী সমর্থকদের সায়েস্তা করতে হত্যা মামলাসহ না ধরণের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। আমি যাতে ইউপি নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে না পারি এ জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এ ষড়যন্ত্রের সাথে আমার প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী জড়িত।’

এ ব্যাপারে বাউফল থানায় ওসি (তদন্ত) আল মামুন বলেন, ‘ওই মালায় ইব্রাহিম (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদিকে ভয়ভিতি কিংবা প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD