বাউফলে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন

রিয়াজ মাহমুদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুকের টাকা দিতে না পাড়ায় শিরিনা আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। নির্যাতিতা শিরিনা নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামের মো. জয়নাল হাওলাদারের মেয়ে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই গৃহবধূর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের বাহির দাশপাড়া গ্রামের মৃত্যু শামসুল হক বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হাফিজ উল্লাহ (৪৫) এর সঙ্গে ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর কিছু দিন যেতে না যেতেই হাফিজ উল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এ ঘটনা নিয়ে (২৫সেপ্টেম্বর) গত রবিবার বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে সালিস বৈঠক হয়। সালিস বৈঠকের এক পর্যায়ে স্বামী হাফিজ উল্লাহ ও তার ভাই মেজবাহ উদ্দিন জমি ক্রয়ের নামে আমার বাবার কাছে আরো ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ সময় আমার বাবা তার আর্থিক অচ্ছলতা তুলে ধরে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হাফিজ উল্লাহ শিরিনাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে আপত্তি করেন। যৌতুকের টাকা ছাড়া শিরিনাকে নিয়ে সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেন। এর পর আমি স্বামী হাফিজ উল্লাহ ও তার ভাই মেজবাহ উদ্দিনের পা ধরে কান্নাকাটি করলেও তাদের মন গলে না । এক পর্যায়ে স্বামী ও দেবর মিলে গৃহবধু আমাকে মারধর করে গলায় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে এবং দাবিকৃত যৌতুকের ১ লাখ টাকা না দিলে তাকে তালাক দিয়ে আরেকটি বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। তার পর থেকেই ঠিকমতো খাবার দেয়া হতোনা আমাকে। বাড়ীর অন্য কারো সাথে যাতে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে না পারি সেজন্য বাসার একটি রুমে আমাকে আটকিয়ে রাখা হতো ।
বুধবার (২৮ সেপ্টম্বর) ঘর থেকে আমাকে তারাবার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মারধর করলে আমি অসুস্থ হয়ে পরে তিনি। সংবাদ পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এবিষয় শিরিনার স্বামী হাফিজ উল্লাহ বলেন, মারধরের ঘটনা সত্য নয়। যৌতুক চাওয়ার কোন বিষয় না। আমি অক্ষম তাই ওকে রাখবোনা।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD