বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে গণধর্ষণ, ফ্যানে ঝুলিয়ে হত্যাচেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১
বাড়িতে একা পেয়ে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, মামা আটক

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে প্রেমের জেরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বাগেরহাটের এক গার্মেন্টকর্মী। শুধু তাই নয়, সিলিংফ্যানে ঝুলিয়ে তাকে আত্মহত্যার নাটক সাজানোরও চেষ্টা করে ধর্ষণকারীরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় লাখাই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দিলুর মেয়ে কোহিনুর আক্তারের সাথে।

সম্প্রতি কোহিনুরের বিয়ে ঠিক করার সময় তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই তরুণী। এ সময় কোহিনুরের আত্মীয় ও একই গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে শিপন মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। একপর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

গত ১২ মার্চ কোহিনুরের বিয়ে ছিল। বিয়েতে অংশ নিতে ঢাকা থেকে ওই তরুণী বান্ধবীর বাড়িতে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার সঙ্গে দেখা করে শিপন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকায় তাকে পার্শ্ববর্তী আশরাফ উদ্দিনের ঘরে নিয়ে যায়।

সেখানে শিপন মিয়া ও তার তিন সহযোগী মিলে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য সবাই মিলে ওই ঘরের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিক ওই বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তারা ধর্ষণের বিষয়টি লুকিয়ে রেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনার তিন দিন পর গত ১৫ মার্চ ওই তরুণীকে তার বড়বোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে বোনকে পেয়ে সাহস পান এবং ঘটনার সবকিছু খুলে বলেন ওই তরুণী।
পরে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার ভিকটিম ও তার বোন লাখাই থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই লাখাই থানা পুলিশ নোয়াগাঁও গ্রামে অভিযান চালিয়ে আশরাফ উদ্দিনের স্ত্রী আফিয়া বেগম, মকবুল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু ও তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে।

শুক্রবার আফিয়া বেগম ও রাবেয়া খাতুনকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা বেগমের আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে।

লাখাই থানার ওসি তদন্ত মহিউদ্দিন বলেন, ভিকটিমের মৃত্যু না হওয়ায় প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD