বেরোবিতে চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র, তদন্ত কমিটি গঠন

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
বেরোবিতে চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র, তদন্ত কমিটি গঠন

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নির্দেশে রেজিস্ট্রার কর্নেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এহতেরামুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের ঘটনায় সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ-উল-হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উপাচার্যের পিএ আবুল কালামকে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের অভিযোগ করেছেন মিঠাপুকুরের রুবেল সাদী নামে এক ব্যক্তি।

অভিযুক্ত তিনজন হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরেজামান সম্রাট এবং মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ভুক্তভোগীর করা লিখিত অভিযোগপত্রের কপি এবং টাকা লেনদেনের ৭ মিনিট ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ জাগো নিউজের হাতে এসে পৌঁছায়। এতে দেখা যায়, রংপুর নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সংশ্লিষ্টরা টাকা লেনদেন করছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুরের বাসিন্দা রুবেল সাদীকে সেকশন অফিসার-০২ পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ লাখ টাকার চুক্তি করেন অভিযুক্ত ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সেই চুক্তি অনুযায়ী ৩ ধাপে ১৩ লাখ টাকা প্রদান করেন রুবেল সাদী। বাকি টাকা যোগদানের সময় পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

কিন্তু টাকা নেয়ার পর চাকরি দিতে টালবাহানা শুরু করেন তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ পর্যায়ে তাদের চাপ প্রয়োগ করলে বাধ্য হয়ে নিয়োগপত্রের একটি ফটোকপি দিয়ে যোগদান করতে বলা হয়।

সেই নিয়োগপত্র নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, এটি ভুয়া নিয়োগপত্র। পরে টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রুবেলের।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD